shono
Advertisement
Ukraine war

'শক্তিশালী ট্রাম্পই পারেন পুতিনকে চাপে ফেলতে', যুদ্ধ বন্ধে আমেরিকাই জেলেনস্কির 'অস্ত্র'

তিন বছর পূর্ণ হতে চললেও দুদেশের এই সংঘাত থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 11:40 AM Feb 15, 2025Updated: 11:43 AM Feb 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি শক্তিশালী। একমাত্র তিনিই পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপে ফেলতে। যুদ্ধ বন্ধ করতে ফের এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরেই ভরসা রাখলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিন বছর পূর্ণ হতে চললেও দুদেশের এই সংঘাত থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। সমান তালে লড়াই করে যাচ্ছে যুযুধান দুপক্ষ। তবে ইউক্রেন ও রাশিয়াকে শান্তির পথে ফেরাতে মধ্যস্থতা করছে আমেরিকা। 

Advertisement

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে পুতিন ও জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে মুখোমুখী হন কি না সেনিয়ে এখন জোর জল্পনা চলছে। এই মুহূর্তে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানিতে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, "আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একজন শক্তিশালী ব্যক্তি হিসাবেই দেখি। তিনি যদি আমাদের পক্ষে থাকেন তাহলে পুতিনকে চাপে ফেলতে পারেন। একমাত্র তাঁরই এই ক্ষমতা রয়েছে। পুতিনকে চাপ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারেন।"

রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, "আমি এই বিষয়ে ট্রাম্পকে মধ্যস্থতা করার শর্ত দিয়েছি। পারলে একমাত্র উনিই পারেন আমাদের আলোচনায় বসাতে। পুতিনকে থামানোর জন্য আমাদের আরও আলোচনা ও কাজ করতে হবে।" বলে রাখা ভালো কয়েকদিন আগেই জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। কিন্তু তাঁর শর্ত দিল, এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে হবে আমেরিকাকে। এর ঠিক একদিনের মাথায় ট্রাম্প ফোন করেন পুতিনকে। পাশাপাশি তিনি ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কির সঙ্গেও।

শান্তির পথে ফিরতে একের পর শর্ত আরোপ করে চলেছে কিয়েভ-মস্কো। রাশিয়ার কার্স্কে ঢুকে ব্যাপক আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। কিন্তু জানা গিয়েছে, যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট হয়ে ওঠা কার্স্ক রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এনিয়ে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার তিনি জানান, “আমি জানি না, আমরা দেখব। আমাদের কাছে সব অঞ্চলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনও অগ্রাধিকার নেই। আমরা রাশিয়াকে কার্স্ক দিয়ে দিতে পারি। কিন্তু আমার কিছু শর্ত রয়েছে। আমাদের যে জায়গাগুলো রাশিয়া দখল করে রেখেছে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে পুতিনকে। পাশাপাশি দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।” এরপরই রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি জানান ট্রাম্প। তিনি এও জানান যে, পুতিন তাঁকে রাশিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এদিন জেলেনস্কি পুতিনের আমন্ত্রণ নিয়েই ট্রাম্পকে বার্তা দিতে চেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি রাশিয়ার যান তাহলে তিনি দেখা করতে পারেন পুতিনের। আর সামনাসামনি তাঁর সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ থামানো নিয়ে কথা বলতে পারেন। কিংবা রাজি করাতে পারেন জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার। প্রসঙ্গত, গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা। অনেকবারই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ক্ষমতায় এলে নাকি একদিনের মধ্যে দুদেশের লড়াই থামিয়ে দেবেন। তিনি সহজে যুদ্ধের ময়দানে একচুল জমিও ছাড়তে নারাজ রাশিয়া ও ইউক্রেন। ফলে রাজি থাকলেও পুতিন ও জেলেনস্কিকে সত্যিই ট্রাম্প মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারেন কি না সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • যুদ্ধ বন্ধ করতে ফের এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরেই ভরসা রাখলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
  • তিন বছর পূর্ণ হতে চললেও দুদেশের এই সংঘাত থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই।
  • ইউক্রেন ও রাশিয়াকে শান্তির পথে ফেরাতে মধ্যস্থতা করছে আমেরিকা। 
Advertisement