সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতীক্ষা ছিলই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। শর্তসাপেক্ষে আপাতত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন যুযুধান দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু এখনও রণক্ষেত্রে আগুন ঝরাচ্ছে কিয়েভ আর মস্কোর সেনা। এই পরিস্থিতিতে আর দেরি করতে চাইছে না হোয়াইট হাউস। তাই দ্রুতই এই বিষয়ে কথা শুরু দুই রাষ্ট্রনেতার।

প্রসঙ্গত, যাবতীয় কূটনৈতিক প্রয়াস সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সন্দেহ রয়েছে পুতিনের সদিচ্ছা নিয়ে। তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে সন্দিহান হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেচেন, কেন এখনও কিয়েভে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন কথোপকথনে কোনও জট ছাড়ানো যায় কিনা সেদিকেই নজর সকলের।
সম্প্রতি সৌদি আরবে বৈঠক হয়েছে ইউক্রেন ও আমেরিকার মধ্যে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলেনস্কি। সেখানেই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানান তিনি। রাজি হয়েছেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতেও। জেলেনস্কির থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি মস্কোয় মার্কিন আধিকারিকদের পাঠান ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার তাঁর দূত স্টিভ উইটকফ কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ইউক্রেন রাজি। এখন সব কিছুই রাশিয়ার উপর নির্ভর করছে। ওরা যদি যুদ্ধবিরতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ইউক্রেনে সেনা অভিযান জারি রাখে তাহলে এর ফল ভুগতে হবে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এটা ওদের জন্য ভালো হবে না। রাশিয়ার উপর বিপর্যয় নেমে। তবে আমি সেটা চাই না। কারণ শান্তির পক্ষে। আমার লক্ষ্য সমাধান সূত্র বের করা।” সেই রফা সূত্রের দিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।