সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় আড়াই মাস হয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। রুশ (Russia) সেনার হামলায় ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেনের বহু অঞ্চল। তবুও ইউক্রেনীয় সেনার পালটা লড়াইয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে রুশ সেনাকেও। শনিবার কৃষ্ণ সাগরের (Black sea) স্নেক আইল্যান্ডের কাছে রুশ রণতরী ধ্বংস করে দিল ইউক্রেনের সশস্ত্র ড্রোন। ইউক্রেন সেনার তরফে টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে এমন দাবিই করা হয়েছে।
সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কীভাবে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মস্কোর যুদ্ধজাহাজটি। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের সেনার তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘৯ মে কৃষ্ণসাগরে রুশ সেনার প্রথামাফিক কুচকাওয়াজ হবে স্নেক আইল্যান্ডের কাছে, সমুদ্রের তলায়।’ উল্লেখ্য়, পুতিন তাঁর সেনাবাহিনীকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ৯ মে’র মধ্যে ইউক্রেন দখল সম্পূর্ণ করতেই হবে। সেই নির্দেশকেই ব্যঙ্গ করল কিয়েভ।
[আরও পড়ুন: সুকান্ত-শুভেন্দু সফরসঙ্গী, শাহর বঙ্গ সফরে কেন ব্রাত্য দিলীপ? চর্চা শুরু দলেই]
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পালটা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে প্রত্যাঘাত হানে ইউক্রেনীয় ফৌজ। তখনই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে যুদ্ধের প্রথমদিনই রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছেন এক ইউক্রেনীয় পাইলট। শুরু থেকেই এভাবে টানা প্রত্যাঘাত চালিয়ে গিয়েছে কিয়েভের সেনা।
এহেন পরিস্থিতিতে পুতিন যে চাপের মুখে রয়েছেন তা স্পষ্ট। যুদ্ধের উত্তেজনা, আমেরিকা ও ন্যাটোর সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা এবং নিজের বাহিনীর ‘বিফলতা’র ফলে মানসিক ধাক্কা খেয়েছেন পুতিন। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার উপরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন ও পশ্চিমী দেশগুলি। কয়েক সপ্তাহ আগেই পুতিনের দুই মেয়ের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তালিকায় জুড়তে পারেন পুতিনের ‘প্রেমিকা’ কাবেবাও। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে পুতিনের উপর চাপ বাড়াতেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মাঝে শনিবার রুশ রণতরী ধ্বংস হওয়ার ঘটনায় সেই চাপ যে আরও বাড়ল তা বলাই বাহুল্য।