সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথের কাঁটা হিসেবে মার্কিন রাজনীতিতে মামদানির আবির্ভাবের পর এবার নজরে আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৈকত চক্রবর্তী। সান ফ্রান্সিসকো থেকে জিতে আমেরিকার আইনসভায় পা রাখতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য বঙ্গতনয় সৈকত।
জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ ৪ দশকের রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি। ক্যালিফর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে নির্বাচিত হয়ে আসা এই নেত্রী বর্তমানে মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসের প্রাক্তন স্পিকার। তাঁর অবসরের পর মার্কিন আইনসভায় পা রাখতে যারা লড়াইয়ে রয়েছেন সেই তালিকায় সবার প্রথমে আছেন সৈকত। ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সৈকত। ২০২৬-এর নির্বাচনে লড়তে গেলে সবার প্রথমে দলের মনোনয়ন পেতে হবে তাঁকে। তার জন্যও প্রতিযোগিতা কম নেই। ক্যালিফর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সেনেটর স্কট উইয়েনার এবং পেলোসির কন্যা ক্রিস্টিন পেলোসি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। আপাতত সেই লড়াইয়েই সামনের সারিতেই রয়েছেন সৈকত।
আমেরিকার টেক্সাসে বাঙালি পরিবারে জন্ম সৈকতের। ২০০৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হন তিনি। পেশাগত জীবনে প্রবেশের পর পরই যোগ দেন সক্রিয় রাজনীতিতে। মার্কিন আইনসভার সদস্য ওকাসিও কর্টেজ এবং আমেরিকার ভারমন্ট প্রদেশের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবেও কাজ করেছেন সৈকত। তবে পরামর্শদাতার ভূমিকা ছেড়ে এবার সরাসরি যোগ দিতে চলেছেন ভোটের রাজনীতিতে।
লড়াইয়ে নামার আগেই অবশ্য নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য পেলোসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৈকত। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, সমাজের সব শ্রেণির মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে আগ্রহী। এমনকী বারাক ওবামা-জো বাইডেনদের ডেমোক্রেটিক পার্টিতে বেশ কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন সৈকত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েছে কারণ ডেমোক্র্যাটরা সে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। আগামী দিনে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিকে রুখতে সৈকত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
