সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ ইয়র্ক সিটি হলে দেখা গেল নতুন মুখ। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে কেমনভাবে শুরু হল তাঁর প্রথম দিন? দায়িত্ব নেওয়ার আগেই মামদানি স্পষ্ট করে দিচ্ছেন নিজের বক্তব্য। বাংলার আলুর দম থেকে শুরু করে মোমো বিভিন্ন 'সাধারণ' পদের স্বাদ নিয়েই রসেবশে শুরু হল তাঁর নতুন যাত্রা। সেই যাত্রায় সঙ্গি মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ।
জোহরান মামদানি, নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথম দিনেই জ্যাকসন হাইটসের লালিগুরাস বিস্ট্রোতে আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে, ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নেন তিনি। খাবারের টেবিলে মোমো, আলুরদম, টিংমোর মত প্রাত্যহিক জীবনের খাবার থাকলেও দুই নেতার কথোপকথন মোটেও সাধারণ ছিল না। আলুদমের কামড়ের মাঝেই ডেমোক্র্যাটদের অন্দরে প্রজন্ম পরিবর্তনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে মামদানি লেখেন, 'আপনাদের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে প্রথম ব্যস্ত দিন: ভোরে সাক্ষাৎকার, পরিবর্তনের ঘোষণা এবং সভা। আগামীকাল এই বিষয়ে আরও কিছু বলার আছে। তবে জ্যাকসন হাইটসের লালিগুরাস বিস্ট্রোতে কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ছিল স্মরণীয়।'
এর মাঝেই নেটিজেনদের নজর কেড়েছে মামদানির প্লেটের আলুরদম। সমাজমাধ্যমে মামদানি ছবি পোস্ট করার পর থেকেই সাধারন মানুষ আলুরদমের রেসিপি, ছবি এবং তাদের নিজস্ব রান্নার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা শুরু করেছেন। নেটিজেনদের দাবি, নিউ ইয়র্ক শহরের লড়াকু মেয়রের মত গুরুত্বপূর্ণ মানুষের প্লেটে মানুষের প্রতিদিনের পরিচিত এই খাবার দেখার অনুভূতি অসাধারণ।
মামদানির, নির্বাচনের প্রচারের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কথা, নিউ ইয়র্ককে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্বের মধ্যে নিয়ে আসার বার্তা। তাঁর প্রথম দিনের খাবারের প্লেটও সেই বার্তাই দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের খাবার মেয়রের প্লেটে থাকা আসলে তাঁর সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগকে আরও দৃঢ় করবে।
কর্টেজের পোস্টেও স্পষ্ট এই বার্তা। মামদানির পোস্টের উত্তরে তিনি লেখেন, 'আমাদের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে শহরের সেরা মোমো খাওয়া সম্মানের। শিশুদের যত্ন থেকে বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত, নিউ ইয়র্ককে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করাই আমাদের লক্ষ্য।'
মামদানির প্রথম দিনই তাঁর জয়ের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন এই নেতা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তিনি শুধুমাত্র সর্বকনিষ্ঠ মেয়রই নন, পাশাপাশি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি শহরের পরিবর্তনের প্রতীক।
