সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ফের একবার প্রমাণ করলেন, তিনি একেবারে ছাপোষা-সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত। হিন্দুত্বের এই ‘পোস্টার বয়’ ছোট থেকেই আড়ম্বরহীনভাবে মানুষ হয়েছেন। আজ উত্তরপ্রদেশের মতো একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও যে তাঁর পা মাটির খুব কাছাকাছি থাকে, সেটাই প্রমাণ করলেন যোগী আদিত্যনাথ।
[জিএসটির প্রভাবে দাম কমল এই স্মার্টফোনগুলির]
কিন্তু কী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?
সম্প্রতি রাজ্যের এস্টেট ডিপার্টমেন্ট নয়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দু’টি ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ বেঞ্জ কেনার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু সেই নয়া গাড়িতে চড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন যোগী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমি পুরনো সরকারি গাড়িতেই চড়ব।’ ওই গাড়িতে তাঁর পূর্বসূরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব প্রায় পাঁচ বছর চড়েছেন। নয়া গাড়ি দু’টি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ হত। শুধু গাড়ি কেনাই নয়, তারপর ওই দু’টি গাড়িকে বুলেটপ্রুফ করতেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হত। কিন্তু নয়া মুখ্যমন্ত্রীর একটি সিদ্ধান্ত সরকারের প্রায় ৫ কোটি টাকা বাঁচাল।
গোরখপুরের সাংসদ এখনও গোরখনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। তাঁর আড়ম্বরহীন জীবনযাপন সাধারণ মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়। এই প্রথম নয় অবশ্য, এর আগেও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য টয়োটা-ফরচুনার না কিনে তুলনামূলক সস্তা টয়োটা ইনোভা কেনার সিদ্ধান্ত নেন। এক একটি ফরচুনারের দাম ৩১.৮৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু ইনোভা পাওয়া যায় তার প্রায় অর্ধেক দামে। মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য দামী গাড়ি কিনে সরকারি কোষাগার থেকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে নারাজ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আধার কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন? কী করে ফিরে পাবেন জানেন?]
যোগী আদিত্যনাথের আগে উত্তরপ্রদেশে যাঁরাই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের গাড়ির বহর দেখলে অবশ্য তাজ্জব হতে হয়। সপা প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী-দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই দামী গাড়িতে চড়তেন। মায়াবতীর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে ল্যান্ডরোভার কেনা হয়। অখিলেশের জন্য কেনা হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ। মুখ্যমন্ত্রীত্ব হারানোর পর অখিলেশ তাঁর গাড়ি সরকারকে ফিরিয়ে দিলেও মায়াবতী এখনও তাঁর জন্য বরাদ্দ এসইউভিতে চড়েই ঘুরে বেড়ান।
The post নতুন মার্সিডিজে ‘না’ যোগীর, চড়বেন পুরনো গাড়িই appeared first on Sangbad Pratidin.