রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বৈষ্ণবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। রাতভর নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার সকালে আমবাগানে উদ্ধার ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেননি বলেই দাবি তাঁর পরিবারের। নদিয়ার বেতাই খড়ুইগাছির ঘটনায় খুনের অভিযোগে পুলিশ দুই বৈষ্ণব এবং এক বৈষ্ণবীকে আটক করেছে পুলিশ।
নদিয়ার বেতাইয়ের খড়ুইগাছির দীর্ঘদিনের বাসিন্দা প্রশান্ত মিস্ত্রি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরন তিনি। পরিবারের লোকজনের দাবি, স্থানীয় এক বৈষ্ণবীর বাড়িতে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। তবে রাত কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি প্রশান্ত। খোঁজখবর শুরু হয়। এরপর শুক্রবার সকালে প্রশান্তর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমবাগানে প্রশান্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই আমবাগানের কাছেই বাস বৈষ্ণবীর।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন’, হাতেখড়ি বিতর্কে রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ দিলীপের]
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেতাই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। তবে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধারে বাধা দেন তাঁর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবি, আত্মঘাতী হননি প্রশান্ত। ওই বৈষ্ণবীই তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক বেতাই-পলাশী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। তার ফলে রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। যদিও পরে পুলিশি আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
যদিও বৈষ্ণবী খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, রাত আটটা নাগাদই বৈষ্ণবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন প্রশান্ত। তারপর কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা তাঁর জানা নেই বলেই দাবি বৈষ্ণবী। এই ঘটনায় বেতাই থানার পুলিশ দুই বৈষ্ণব এবং এক বৈষ্ণবীকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।