সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) জাপরজাই অঞ্চলে রুশ মিসাইলের হানায় মৃত্যু হল ১৭ জনের। তার মধ্যে রয়েছে এক শিশুও। শনিবার স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাতটি মিসাইল ছুঁড়েছিল রাশিয়া। মূলত শহরের অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করেই হামলা হয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে সকলের। হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের এমার্জেন্সি বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, “রুশ মিসাইল হানায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৭। তাদের মধ্যে রয়েছে একটি শিশুও। বৃহস্পতিবার কাকভোরে এই মিসাইল হামলা হয়েছিল। পাঁচতলা একটি আবাসন সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গিয়েছে রুশ (Russia) মিসাইলের আঘাতে।” এই হামলা প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, “প্রতিদিন মিসাইল হামলা চালানো রাশিয়ার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষ মারার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।”
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমন করতেই উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে কড়া হতে হয়েছে, সাফাই চিনের]
গণভোটের মাধ্যমে জাপরজাই (Zaporizhzhia) নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এখনও সেই অঞ্চলে রুশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্যদিকে, অধিকৃত অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউক্রেনও। সেই কারণেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি হচ্ছে ইউক্রেন। মনে করা হচ্ছে,আক্রমণের ঝাঁঝ কমিয়ে দিতেই অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছিল রাশিয়া। মোট সাতটি মিসাইলের মধ্যে তিনটি লোকালয়ে আছড়ে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় ১৭ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হাতছাড়া হওয়া ক্রাইমিয়াও (Crimea) ফের দখল করতে চাইছে ইউক্রেন। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড ও ক্রাইমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ক্রাইমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল এই সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা। সব মিলিয়ে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই।