সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই ব্লাড প্রেশার (High Blood Pressure) অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ। আধুনিক জীবনে এই রোগের রমরমা। ভারতবর্ষে নাকি প্রতি চারজনের একজন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে’তে (World Hypertension Day) এই খবর মোটেও সুখকর নয়। তাহলে? তাহলে নিজের ব্যস্ত জীবনে কয়েকটি পরিবর্তন করতে পারেন। তাহলেই রক্তচাপের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
ওজন ততটাই রাখবেন যতটা আপনার শরীর সহ্য করতে পারবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন৷ সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন সকালে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন অথবা রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটুন৷ বডি মাস ইনডেক্স ২৫-এর কম রাখতে হবে৷
নুন থেকে দূরে থাকুন। হাই প্রেশারের রোগীর সারা দিনে মাত্র ২ গ্রাম নুন খাওয়া উচিত। সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন৷ ধমনীর ভিতরে নুন জমে ধমনী মোটা হয়ে বুজে যায়৷ এই কারণেই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নুন খাওয়ার উপরে নজর রাখতে বলা হয়। তবে সবসময় তো এতটা কঠোরভাবে নুনের পরিমাণ মেপে রান্না করা যায় না। তাই রোগীর রান্নায় স্বাভাবিক মাত্রায় নুন ব্যবহার করা যেতেই পারে। কিন্তু পরে খাবারে আলাদা করে নুন দেওয়া চলবে না।
[আরও পড়ুন:‘পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেতে আপত্তি কোথায়’, চাকরি বাতিল মামলায় ডিভিশন বেঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পর্ষদ]
রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডায়েটে রাখুন উদ্ভিজ্জ ফ্যাট, অলিভ অয়েল, ওমেগা অয়েল (ফিশ অয়েল), ভেজিটেবিল অয়েল৷ হাই ফ্যাট ডায়েট, প্রাণীজ ফ্যাট, তেলজাতীয় খাবার ও কার্বোহাইড্রেট বাদ দিন৷ কিডনির সমস্যা না থাকলে পটাশিয়ামযুক্ত ফল ও খাবার খান৷ অতিরিক্ত ভাজাভুজি ও জাঙ্ক ফুড খাবেন না৷
উচ্চ রক্তচাপের একটা বড় কারণ বর্তমান জীবনের ইঁদুর দৌড়ে হাঁপিয়ে যাওয়া মন। মানসিক চাপ এড়াতে মন ভাল থাকে এমন কাজ করুন৷ ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে অন্তত ১৫ মিনিট ধ্যান করুন।
যাঁদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে মদ এবং সিগারেট থেকে তাঁদের দূরে থাকাই ভাল। আর বয়স ৪০ হলেই ছ’মাস বা এক বছর অন্তর ব্লাড প্রেশার চেক করা অত্যন্ত জরুরি৷ মাথা ধরা, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা ব্লাড প্রেসার বাড়ার লক্ষণ।