নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কাঁকড়তলা, দুবরাজপুর, খয়রাশোলের পর এবার সাঁইথিয়া ও মল্লারপুর। ফেল বীরভূম থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার জেলার দুপ্রান্ত থেকে প্রায় দু’শোটি বোমা উদ্ধার হয়। এর মধ্য়ে ৭০টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা গিয়েছে।
সাঁইথিয়ার চাঁদপাড়ায় একটি ঝোপের আড়ালে বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে ঝোপের আড়াল থেকে ৭০টি হাতবোমা উদ্ধার করে। সূত্রের খবর, ঝোপের আড়ালে দু’টি ড্রাম ও একটি ঝোলায় বোমাগুলি রাখা ছিল। কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক মজুত করেছিল তা এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারই মৃত্যুফাঁদ! গলসিতে প্রাণ গেল শিশুর]
মল্লারপুরের জোমুনি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতেও প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা জানায়, মন্টু শেখের বাড়িতে শতাধিক বোমা মজুত করা রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে তারা ১৫টি বোমা উদ্ধার করেছে। বাকিগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, মন্টু শেখ নামে জনৈক ব্যক্তি বাড়িটি কিনেছিলেন, কিন্তু তিনি মহারাষ্ট্রে থাকেন। তাই বাড়িটি ফাঁকাই পড়ে থাকে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কে বা কারা কী উদ্দেশে বোমা মজুত করেছিল তা এখনও অজানা।
বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার লতিপাড়ায় গ্রাম থেকে আনুমানিক ১০০ বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই নজরে মাড়গ্রাম থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি প্লাস্টিকের জার ও তিনটি ব্যাগের মধ্যে রয়েছে এই বোমাগুলি। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।
বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার নির্মীয়মান বাড়িতেও বিস্ফোরণ হয়েছে। পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়া পাড়া গ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ সফিকের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ফলে বাড়ির সিঁড়ি ঘর উড়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে ওঠে এলাকা। জানা গিয়েছে, বাড়ির সিঁড়ি ঘরে শতাধিক বোমা রাখাছিল।