বাবুল হক, মালদহ: ইটভাটার অফিস ঘর থেকে মিলল ম্যানেজারের ঝুলন্ত মৃতদেহ! এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌলপুর এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সাদেকুল ইসলাম, বাড়ি মৌলপুর গ্রামে। এদিন বেলা দশটা নাগাদ ইটভাটার অফিস ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এটি আত্মহত্যা না অন্য কিছু? তাই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ইটভাটার কয়েকজনকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। বছর ৩৮ বয়সের মৃত সাদেকুলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি মালিকানাধীন ওই ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজার হিসেবে তিনি কাজ করতেন। এদিন সকালেও তিনি বাড়ি থেকে ইটভাটায় গিয়ে কাজে যোগ দেন। তার কিছুক্ষণ পর ইটভাটার অফিস ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ পৌঁছে ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তাতে ইটভাটার দু'জন কর্মীর নাম উল্লেখ করে মৃত্যুর জন্য তাদের দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু সহজেই 'আত্মহত্যা' মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাঁদের আরও অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর ইটভাটায় সাদেকুল ইসলামকে টাকা চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মালদহ থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের ডাক পেয়ে তিনি থানায় গিয়েছিলেন। তারপর দেখা যায়, যে টাকা চুরির কথা বলা হচ্ছিল, সেই টাকা ইটভাটার অফিস ঘরেই পড়ে রয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই টাকা চুরির অপবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর মৃত্যুভয় পেয়েছিলেন ওই যুবক! আত্মহত্যা না অন্য কিছু, জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদহ থানার পুলিশ।
