চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ফের মানবিক পুলিশ। নিজের রোজগারের অর্থ দিয়ে খাবার কিনে হাসপাতালের রোগীদের বিলি করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার ওসি দেবদাস বিশ্বাস। পুলিশের এই ভূমিকায় আপ্লুত রোগীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে যান দেবদাস বিশ্বাস। প্রসূতি বিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগে ভরতি থাকা রোগীদের দুপুরের খাবার হিসেবে হাতে তুলে দেন ভাত, ডাল, সবজি, রুটি এবং একটি করে পানীয় জলের বোতল। পুলিশকে হঠাৎ হাসপাতলে খাবার বিতরণ করতে দেখে হতচকিত হয়ে যান রোগীরা এবং তাঁদের পরিজনেরা।
[আরও পড়ুন: ‘I LOVE YOU, THE END’, হাতে লিখে ‘আত্মঘাতী’ যুবক, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
দেবদাসবাবুকে দেখে প্রথমে হাসপাতালের রোগী থেকে শুরু করে ডাক্তার, নার্স সকলেই ভেবেছিলে থানার বড়বাবু হয়তো কোনও মামলার তদন্ত করতে এসেছেন। কিন্তু যখন একে একে খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন তখন সকলের ভুল ভাঙে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বড়ঞা থানার ওসি দেবদাস বিশ্বাস জানিয়েছেন, “আমাদের রাজ্য সরকার সকল রোগীদের পাশে সবসময়ই রয়েছে নানারকম পরিষেবা নিয়ে। আমি এক বেলা নিজের সাধ্যমত খাবার দিতে পেরেছি। এটা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।”
পুলিশকর্তার কাজে খুবই খুশি কান্দির ভারপ্রাপ্ত মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার মজুমদার। বলেন, “ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। খুনি বদমাইশদের ধরার পাশাপাশি সমাজসেবায় পুলিশের এই ভূমিকা আমাদের আগামিদিনের পাথেয় হবে।” বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভরতি হাসনাহানা বিবি, জ্যোৎস্না দাসরা বলেন, “আমরা তো প্রথমে ভেবেছিলাম পুলিশ আধিকারিক কোনও পরিষেবার বিষয় বা কোনও মামলার বিষয়ে খোঁজ-খবর করতে এসেছেন। পরে যখন হাতে করে খাবার নিয়ে এসে আমাদের দিলেন তখন আমাদের ওনার সম্পর্কে ধারনাটাই বদলে গেল। সমাজে এইধরনের পুলিশ আধিকারিকের খুবই প্রয়োজন। একই কথা জানিয়েছেন, হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত রোগে ভরতি সাবের আলি, মেজাই বেওয়া প্রমুখরা। সকলে খাবার এবং জল পেয়ে দুহাত তুলে আশীর্বাদও করেছেন ওই পুলিশ আধিকারিককে।