সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন শ্রীকৃষ্ণের কাহিনি! দৈবের আশীর্বাদ ছাড়া এমনটা সম্ভবই না, বিশ্বাস গ্রামবাসীর। ২০ ফুট গভীর পাতকুয়োতে পড়েও মৃত্যু হয়নি একরত্তির। এমনকী তাকে সারারাত ফণা তুলে পাহাড়া দেয় একটি বিষধর সাপ! অন্তত এমনটাই দাবি শিশুটিকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা প্রৌঢ়ের। বর্তমানে ‘মিরাকল’ শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মানুষের ঢল নামছে আশ্চর্য শিশুকে চাক্ষুষ করতে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বদায়ুঁ জেলার। কীভাবে শুকনো পাতকুয়োতে শিশুটি পড়ে গেল তা জানা যায়নি। ভোরে মাঠে কাজ করতে গিয়ে শিশুর কান্নার শব্দ পান বছর ৫০-এর প্রেম রাজ এবং তাঁর স্ত্রী ৪৮ বছরের সোমওয়াতি দেবী। কাছের একটি কুয়ো থেকে ওই শব্দ আসছিল। এর পর ২০ ফুট গভীর কুয়োতে নামেন প্রেম। তখনই দেখেন ভিতরে পড়ে একটি শিশু। তার পাশে ফণা তুলে বসে সাপ। যদিও প্রেমকে দেখেই সাপটি চলে যায়, দাবি প্রৌঢ়ের।
[আরও পড়ুন: ‘উপেক্ষা নয়, সোচ্চার হতে হবে স্পর্শকাতর বিষয়ে’, দলীয় নেতৃত্বের নীতি নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন থারুরের]
শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করেন প্রেম এবং তাঁর স্ত্রী। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এদিকে কুয়ো থেকে শিশু উদ্ধারের ‘অলৌকিক’ কাহিনি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটিকে দেখতে ভিড় করতে শুরু করে জনতা। উঁচু থেকে পড়েও শিশুর বেঁচে যাওয়া, সেইসঙ্গে সাপের পাহাড়াদারী, সবটাই অলৌকিক ঘটনা, দৈবের আশীর্বাদ বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: স্কুটি থেকে পড়েই মৃত্যু দাদুর, ৬ বছরের নাতিকে ২ কিমি হিঁচড়ে নিয়ে গেল ট্রাক]
অন্যদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির দেহে কয়েকটি কাটাছেঁড়ার দাগ রয়েছে। উঁচু থেকে নিচে পড়ার কারণে তার কপালের কিছুটা অংশ ফুলে গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা আগেই তার জন্ম হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। কুয়োর মধ্যে কেউ বা কারা শিশুটিকে ফেলে গিয়েছিলেন বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।