সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বক্স অফিসে দারুণ সফল পরিচালক অনীক দত্তর (Anik Dutta) ছবি ‘অপরাজিত’ (Aparajito)। সমালোচকরাও এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধু রাজ্যে নয়, গোটা দেশে, এমনকী বিদেশের মাটিতেও সিনেপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’। ‘অপরাজিত’ ছবি নন্দনে শো না পাওয়ায় সম্প্রতি বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির গল্প নিয়ে তৈরি ‘অপরাজিত’ দেখানো হল না নন্দনে। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে, যে ছবি নিয়ে এত উন্মাদনা, সে ছবির ভাবনা কি মৌলিক? নাকি অন্যের ভাবনা ধার করে ‘অপরাজিত’ তৈরি করেছেন অনীক দত্ত? আর এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষ টুইট করে লেখেন, ‘অপরাজিত’ ছবিটি কি মৌলিক ভাবনা? ২০১২ সালে নথিভুক্ত ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির ছবিটির শুটিং চলছে। নানা কারণে দেরি। এক থিমে ছবি। জেনে নাকি না জেনে? প্রচারের চাপে আসল টিম কোণঠাসা? তাঁদের ছবির কাজ চলছে। সেই ছবিটিও মুক্তি পাবে। টলিউড, থিম কি হাইজ্যাকড হল? তদন্ত হোক।’
[আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী দোলন রায়, কেমন আছেন? জানালেন স্বামী দীপঙ্কর দে]
এই টুইটে কুণাল ঘোষ ছবির কয়েকটি শুটিং স্টিল এবং একটি ডকুমেন্ট শেয়ারও করেছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ ঘোষের নামে ‘বিষয় পথের পাঁচালী’ নামে একটি ছবির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তৃণমূলের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ জানান, এ রাজ্যের পুলিশমহলের একাংশ সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই একটি ছবি তৈরি করছেন। এই ছবির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ২০১২ সালে। নানা কারণে এই ছবির কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। কিন্তু একই ভাবনা নিয়ে তৈরি আরেকটি ছবি মুক্তি পেয়ে গেল। অথচ সেই ছবির কলাকুশলী বা প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ বা আলোচনা হয়েছে কিনা বা টলিউডে, থিম হাইজ্যাক করার ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। কারণ, বাংলার কিছু পুলিশকর্মী নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাঝে সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানাতে একটি ছবি তৈরির প্রচেষ্টা করছেন আর সেখানে সেই এক ভাবনা নিয়ে আরেক পরিচালক তাঁর ছবি রিলিজ করিয়েছেন। এটার নেপথ্যে কী কারণ তা অবশ্যই বাংলার মানুষের সামনে আসা দরকার।
কুণাল ঘোষের এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে পরিচালক অনীক দত্তকে ফোন করা হলে, তিনি জানান, ‘এই বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। ‘