shono
Advertisement

আজারবাইজানের সঙ্গে বিতর্কিত শান্তিচুক্তির জের, পদত্যাগ আর্মেনিয়ার বিদেশমন্ত্রীর

শান্তিচুক্তির অধীনে আজারবাইজানের ভূমি ফেরত দিতে শুরু করেছে আর্মেনিয়ার সরকার।
Posted: 11:36 AM Nov 17, 2020Updated: 11:36 AM Nov 17, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ শান্তিচুক্তির ফলে রোষে ফুঁসছেন আর্মেনীয়রা (Armenia)। প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি আরও জোরাল হয়ে উঠছে। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার পদত্যাগ করেছেন আর্মেনিয়ার বিদেশমন্ত্রী জোহরাব মাতসাকানয়ান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে তুলোধোনা কাবুলের, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের পাশে আফগানিস্তান]

বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে বিগত প্রায় দু’মাস ধরে লড়াইয়ের পর রুশ মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। লড়াইয়ে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি আর্মেনীয় সৈনিকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। এদিকে, শান্তিচুক্তির পর যুদ্ধ থামলেও আর্মেনিয়ার শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। শান্তিচুক্তিতে আজারবাইজানের (Azerbaijan) শর্ত মেনে কার্যত আত্মসমর্পণ করার অভিযোগে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানের বিরুদ্ধে। দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় হাজার হাজর মানুষ। সরকারি দপ্তরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আর্মেনিয়ার সংসদ ভবনে ঢুকেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, জনরোষে প্রবল মার খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আর্মেনীয় পার্লামেন্টের স্পিকার আরারাত মিরজওয়ান। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সৈনিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের শর্ত মেনে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নিকোল পাশিনিয়ান।

এদিকে, শান্তিচুক্তির অধীনে আজারবাইজানের ভূমি ফেরত দিতে শুরু করেছে আর্মেনিয়ার সরকার। বিগত ৩০ বছর ধরে আর্মেনিয়ার দখলে ছিল এই এলাকাগুলি। রবিবার থেকে আজারবাইজানের কাছে কালবাজার নামের একটি এলাকা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে আর্মেনিয়া। এছাড়া আগদাম নামে আরেকটি জায়গা আগামী ২০ নভেম্বরের ভেতরে আজারবাইজানকে ফেরত দিতে হবে। একইভাবে লাচিন নামে একটি এলাকা আগামী ০১ ডিসেম্বর এর ভেতরে আজারবাইজানের কাছে ফেরত দেওয়ার কথা। ওই এলাকার বেশ কিছু ভূখণ্ড ইতিমধ্যে আজারবাইজানের সেনারা পুনর্দখল করেছে। ইয়েরেভানকে বিপাকে ফেলে কালবাজার এলাকা ছেড়ে আর্মেনিয়ায় চলে গিয়েছেন আর্মেনীয়রা। ১৯৯০ সালের দিকে এলাকাটি আর্মেনিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এবং আর্মেনিয়ার সেনারা দখল করে নিয়েছিল। তবে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বাসিন্দারা তাঁদের ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে তুলোধোনা কাবুলের, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের পাশে আফগানিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement