সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের আগেই ভারতে ঢুকতে পারে প্রায় আড়াইশো জঙ্গি (Terrorist)। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন ভারতীয় সেনার বজ্র ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং (জিওসি) অমরদীপ সিং আউজলা। তাঁর দাবি জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তরেখা সংলগ্ন অঞ্চল দিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে প্রবেশ করতে ওঁত পেতে রয়েছে ২১৫-২৫০ জন জঙ্গি। তবে সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা ওদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করার কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’
দেশের সীমান্তরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় তা কমেছে ৭৫ শতাংশ। লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু জানিয়েছেন, গত বছর যেখানে ১৩০ জন জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেছিল। এবার সেখানে সংখ্যাটা মাত্র ৩০। তাঁর মতে, সংখ্যার এই হ্রাস পাওয়াটা দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলার পক্ষে সহায়ক হবে। তিনি দাবি করেছিলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই পরিস্থিতিতেই আবার নতুন করে শোনা গেল অনুপ্রবেশের আশঙ্কার কথা।
[আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশ থেকে সরানো হোক হাথরাস মামলার শুনানি, দাবি নির্যাতিতার পরিবারের]
গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না দাবি করেছিলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের জন্য কোনও পুনর্বাসন নীতি হতে পারে না। ওদের যা প্রাপ্য তাই দেওয়া হবে।’’ লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সম্প্রতি স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে আবেদন করেন, তারা যেন হিংসার পথ ছেড়ে দেয়। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। তারই উত্তরে এই কথা বলেন রবীন্দ্র রায়না।
এদিকে গত শনিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে দু’জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। এনকাউন্টারে খতম করা হয় তাদের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, আগে থেকেই খবর ছিল ওখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে। তাই তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। তখনই আচমকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। নিহত জঙ্গিরা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর তা এখনও জানা যায়নি।