সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার সেনেটে (USA Senate) মুখ পুড়ল চিনের। মঙ্গলবার মার্কিন সেনেটে একটি প্রস্তাব পেশ করে বলা হয়, ম্যাকমোহন লাইনকেই ভারত-চিনের প্রকৃত সীমানা হিসাবে মান্যতা দিতে হবে বেজিংকে। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) যে অঞ্চলগুলি নিজেদের বলে দাবি করে থাকে চিন (China), সেই দাবিকেও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রস্তাব। সর্বসম্মতিতে মার্কিন সেনেটে পাশও হয়ে গিয়েছে এই প্রস্তাব। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ আসলে অখণ্ড ভারতের অংশ।
বিল হ্যাগার্টি নামে এক সাংসদের উদ্যোগে এই প্রস্তাব পেশ হয় মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটে। সেখানে বলা হয়, “ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে চিন। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বন্ধুরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতা করা। বিশেষত ভারতের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।” এই প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরেই সর্বসম্মতিতে পাশ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে টাটার প্রত্যাবর্তন! কারখানা খুলছে খড়গপুরে, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
কী আছে এই প্রস্তাবে? বিল জানিয়েছেন, “সমগ্র অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অখণ্ড অংশ বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে মার্কিন সেনেট। ম্যাকমোহন লাইনকেই ভারত ও চিনের মধ্যে সীমানা হিসাবে মান্যতা দিতে হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে চিন, তার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। ভারত-সহ কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় আমেরিকা।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যদি দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ না মেটে, তাহলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ যদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনেটে পাশ হল চিন বিরোধী প্রস্তাব। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাপে পড়বেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, এমনটাই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।