সোমনাথ রায়: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর (Kashmir)। শ্রীনগরে (Srinagar) জঙ্গি হামলায় (Terrorist attack) মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। আহত ২। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পুলিশের একটি দল শ্রীনগরের লালবাজার এলাকায় জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল সংলগ্ন অঞ্চলে তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেই সময়ই আচমকা ওই দলটির উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মুস্তাক আহমেদ। আহত হন দু’জন পুলিশকর্মী। তাঁদের সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে পুলিশ জঙ্গিদের উদ্দেশে পালটা গুলি চালালেও তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শৃঙ্খলা রক্ষায় দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের, দিলেন হোম ওয়ার্কও]
খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও জঙ্গিদের সন্ধান মেলেনি। উল্লেখ্য, এপ্রিল মাস থেকেই পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে। প্রথমে সরকারি অফিসে ঢুকে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর (Kashmir)। পুলিশকর্মী থেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। পালটা জবাবও দিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা। গত জুনেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছিলেন চলতি বছরে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া অভিযান চালিয়ে একশোর উপরে জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে। যাদের একটা অংশ বিদেশি জঙ্গি। কিন্তু তারপরেও জঙ্গি হামলার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়। তারপরই সেখানে শান্তি ফিরেছে বলে দাবি করে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর একের পর এক হামলায় চরম বিপাকে পড়েছে শাসকদল বিজেপি। এছাড়া, সীমান্তে পাকিস্তানের উসকানি এবং কাশ্মীরে অমুসলিমদের উপর জেহাদিদের হামলা, সবমিলিয়ে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।