সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাদা রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে রাজ্য পরিচালনা করতেন ভরত। এবার আধুনিক যুগে ফিরে এল রামায়ণের সেই ঘটনা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চেয়ার ফাঁকা রাখলেন অতিশী। রাজধানীর নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ভরতের আদর্শ মেনেই আগামী চার মাস দিল্লিকে পরিচালনা করবেন তিনি। উল্লেখ্য, গত শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন অতিশী মারলেনা।
সোমবার দপ্তরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন অতিশী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে বসেননি তিনি। পাশে অন্য একটি চেয়ারে বসে কাজ শুরু করেন। আপ নেত্রীর কথায়, "ভরতের মতো আজ আমিও একটা দায়িত্বভার বহন করছি। যেভাবে তিনি রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে রাজ্যশাসন করতেন, আমিও সেভাবেই আগামী চার মাস দিল্লিকে পরিচালনা করব।" অতিশীর বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কেজরিওয়ালের। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আপ সুপ্রিমোকেই জিতিয়ে ফের ক্ষমতায় আনবেন দিল্লির আমজনতা। ততদিন পর্যন্ত ফাঁকাই থাকবে ওই চেয়ার।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সরকারি বাসভবন ‘রাজ নিবাসে’ উপস্থিত হন অতিশী-সহ আপের শীর্ষ নেতৃত্বরা। উপস্থিত ছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন অতিশী। এর পর আপের আরও ৫ বিধায়ক একে একে শপথ গ্রহণ করেন। এরা হলেন গোপাল রাই, সৌরভ ভরদ্বাজ, কৈলাস গেহলট, ইমরান হুসেন এবং প্রথমবার বিধায়ক হওয়া মুকেশ অহলাওত।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে গ্রেপ্তার হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। ইনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এর পর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন ও দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতিশীর নাম ঘোষণা করা হয়।