সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র! এনিয়ে উত্তাল বাংলাদেশের সংসদ। মুজিবকন্যাকে খুন করার চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেছেন শাসকদল আওয়ামি লিগের সাংসদ ও প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।
বুধবার ঢাকায় জাতীয় সংসদে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আজাদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে।” এই সাংসদ দাবি করেছেন, কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তা তিনি সংসদে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারলে তাঁকে বলতে পারতেন। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে নিজেদের লোকও জড়িত। গতকাল জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির উপর বিএনপির ডাকা সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তিই অগ্রাধিকার, হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে মোদির সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা]
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করার সময় এসেছে। সময় এসেছে যারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিল তাদের খুঁজে বের করার। আমি জানি না আমরা এই হত্যাকাণ্ডের পিছনের মুখোশ উন্মোচন করতে পারব কি না, তবে আমি মনে করি এটি অন্তত একদিন বেরিয়ে আসবে। এই চক্রান্ত শুধু একটা হত্যাকাণ্ডই নয়, এই চক্রান্ত একটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং আমাদের আদর্শের বিরুদ্ধে।”
উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা করেছিলেন বলে এদিন উল্লেখ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সাংসদ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। পাকিস্তান আমলে জিয়াউর রহমান দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ে কর্মরত ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে তাঁর দহরম-মহরম ছিল। সেই সুবাদে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীলনকশা করে।” বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উদঘাটনে জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও প্রাক্তনমন্ত্রী রাশেদ খান। এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের আগে কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
