সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। বিদ্বেষের আগুনে পুড়ছে গোটা দেশ। লাগাতার হামলা চলছে সংখ্যালঘুদের উপর। এবার পিরোজপুরে জেলায় পর পর অন্তত পাঁচটি হিন্দু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পিরোজপুর। সূত্রের খবর, সোমবার ভোরে ডুমরিতলা গ্রামের অন্তত পাঁচটি হিন্দু বাড়িতে পর পর আগুন লাগিয়ে দেয় একদল দুষ্কৃতী। সেই সময় ঘরের ভিতরেই ঘুমাচ্ছিলেন সদস্যরা। আগুন টের পেতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। তড়িঘড়ি বাইরে বেরোতে গেলে দেখেন দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কোনও মতে বাঁশের দেওয়াল ভেঙে তাঁরা বাইরে বেরোন। গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সূত্রের খবর, পাঁচটি বাড়িই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনুস দায়িত্ব নিলেও কট্টরপন্থীদের দাপাদাপি আরও বেড়েছে। সম্প্রতি ছাত্রনেতা হাদি খুনের ঘটনায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় সেদেশের সংবাদমাধ্যমের দপ্তরগুলিতে। এমনকী অগ্নিসংযোগও করে দেওয়া হয়। কট্টরপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটও। সেখানেও রাতভর চলে তাণ্ডব। এরপরই সংখ্যালঘু হিন্দু যুবক দীপু দাসকে গণপিটুনির পর তাঁর দেহ গাছে ঝুলিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা বিশ্ব। তারপর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার খবর। এবার পিরোজপুরের এই ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করল।
