নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ভারতের জ্ঞানেশ্বরি কাণ্ডের ছায়া বাংলাদেশে। বড় ধরণের দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেলেন অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের শতাধিক যাত্রী। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে রেললাইনের পাত তুলে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকাগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় তারাকান্দি স্টেশন পেরনোর পরেই। এই ঘটনার পরে সোমবার ভোর থেকে ঢাকা–ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া জাচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে কোনও সময় দুষ্কৃতীরা গফরগাঁও রেলস্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পুর শহরের জন্মেজয় মাঠখলা এলাকায় প্রায় ২০ ফুট রেললাইন তুলে ফেলে। এরপরে, প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা দেরিতে চলা ময়মনসিংহ-ঢাকা অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ভোর ৫টা নাগাদ ওই এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ সামনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর ময়মনসিংহ থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাকি ১১টি বগি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ জংশনে নিয়ে যায়। গফরগাঁও জিআরপির ইনচার্জ হাবিলদার আরিফ রব্বানী বলেন, 'ট্রেনটির গতি কম থাকায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।' গফরগাঁও স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'ভোর ৫টা থেকে ঢাকা–ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ঘোষিত মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে গত ২৭ ডিসেম্বর বিকেল থেকে বিএনপির একদল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী আন্দোলন করছেন। ওই দিন বিকেলে ময়মনসিংহ-১০ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাগলা থানা বিএনপির প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গফরগাঁও পুর শহরে বনধ, বিক্ষোভ, রেল ও পথ অবরোধ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের রেল অবরোধের কারণে শনিবার বিকেল থেকে একটানা ১১ ঘণ্টা ঢাকা–ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ২৮ ডিসেম্বর এই রেলপথে চার দফায় প্রায় সাত ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে। সেনা পাহারার মধ্যেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।
