সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন। সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
নোবেল বিজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা ১৫ জন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বুধবার সেনা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে। সেনাপ্রধান বলেন, ‘ড. ইউনূস আগামীকাল দেশে আসবেন। আমি তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করব। সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি আমাদের সুন্দর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাবেন।’
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা দিয়ে সমাজ গড়ব’, সম্মেলনে ডাক বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার]
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মহম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রস্তাব দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য এই সরকারের একটি প্রাথমিক তালিকাও রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়েছে সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে। ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ তালিকায় প্রস্তাব করা হয়েছে- ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ড. শাহ্দীন মালিক, ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, মো. তৌহিদ হোসেন, শহীদুল্লাহ খান বাদল, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ। এর বাইরে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আরও একজন মুক্তিযোদ্ধা-সহ দু’জনকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আর একজন সংখ্যালঘু ও একজন আদিবাসী যুক্ত হতে পারেন।
সমন্বয়কদের সূত্রে জানা যায়, ড. ইউনুসের পক্ষ থেকেও তাদের ৩১ সদস্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বাকি উপদেষ্টাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবনার জন্য। সূত্রের দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার হবে ১৫ থেকে ২০ সদস্যের।