সুকুমার সরকার, ঢাকা: জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার অভিযোগে বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার-সহ ১৭ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। জাল ও প্রায় এক টন মাছও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এপ্রসঙ্গে খুলনা মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম সিদ্দিক হাসান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ার ওয়ে বয়া এলাকায় টহলদারি চালানো হচ্ছিল। পরে সন্দেহজনক কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। বাকিরা এলাকা ছেড়ে চলে গেলেও ‘এফবি মা শিবানী’ নামে একটি ট্রলার-সহ ১৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। পরে ওই ট্রলার ও ধৃত মৎস্যজীবী (fishermen) দের মোংলা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর বাজেয়াপ্ত বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান, তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, ঢাকায় বসবে আতাতুর্কের মূর্তি]
প্রশাসন সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে মোংলা (Mongla) উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক এম এ রহমান বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে মামলা দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছরই ভারত ও বাংলাদেশের অনেক মৎস্যজীবী একে অপরের জলসীমা পেরিয়ে মাছ ধরেন বলে অভিযোগ। এর ফলে মাঝে মাঝে দুই প্রান্তেই কোনও কোনও মৎস্যজীবীকে সংশ্লিষ্ট দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়। কেউ কেউ বেশ কিছুদিন জেলও খাটেন। বিভিন্ন সময়ে উভয়দেশের মৎস্যজীবীদের সরকারের তরফে সচেতন করার চেষ্টা হলেও কেউ কেউ সেই বিষয়কে গুরুত্ব দেয় না। ফলে এই ধরনের ঘটনার ঘটে। যদিও অনেকে আবার দু’দেশের ভৌগলিক অবস্থানকেও এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।