সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখা আত্মহত্যার সমান। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মাঝে এমনই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। যেকোনও মুহূর্তে পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানে আঘাত হানতে পারে ভারতীয় সেনা! জোরাল হচ্ছে এমনই জল্পনা। দিল্লিতে এখন তৎপরতা তুঙ্গে। ঘন ঘন বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে, স্থগিত হয়ে গিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রী তথা উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশহাক দারের বাংলাদেশ সফর। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে বিদেশমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে যেতে পারছেন না।
জানা গিয়েছে, গতকাল বুধবার কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়’-এ অংশ নিয়েছিলেন ইউনুস। সেখানেই তিনি বলেন, "আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করি, যেখানে যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মহত্যার সমান। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুগোপযোগী বিমানবাহিনীর গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। অনেকের মতো আমিও যুদ্ধবিরোধী মানুষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনই চাই না। যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেক সময়ই যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। আমাদেরই কাছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। খবরে দেখলাম, হয়তো গুজব, কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে যুদ্ধ। প্রস্তুতি নিতে হলে অর্ধেক প্রস্তুতির কোনও জায়গা নেই। এটা এমন এক পরিস্থিতি, জয়ই একমাত্র পথ। কাজেই আমরা আমাদের প্রস্তুতি কত উচ্চ পর্যায়ে নিতে পারি, তার চেষ্টা থাকতেই হবে।"
যুদ্ধ একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার উল্লেখ করে এদিন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় আছে। এমনিতেই বাংলাদেশ মজবুত অর্থনীতির দেশ হয়ে গড়ে উঠতে পারেনি। তার মধ্যে বিগত সরকারের যথেচ্ছাচারের কারণে যা ছিল তা-ও লুটপাট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সামগ্রিক স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে। শান্তির দিকে হাত বাড়িয়ে রাখতে হবে সবসময়। কিন্তু প্রস্তুতও থাকতে হবে। বিমানবাহিনীর মহড়া দেখে খুবই ভালো লেগেছে। এগুলো আমরা সিনেমাতে দেখি। বাস্তবে দেখার খুব একটা সুযোগ হয় না। আজকে আপনাদের কারণে সেটা বাস্তবে দেখলাম। এতে আমাদের সাহস বাড়ে। শুধু যুদ্ধের সাহস না-আমাদেরই ছেলেমেয়েরা এমন দুর্দান্তভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে, কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে, এটা দেখে বুক ভরে যায়।"
‘ভারতবন্ধু’র সংজ্ঞা বদলে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের ‘প্রেমে’ মজে। হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচার হলেও পাকিস্তানিদের একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তলে তলে ‘আঁতাঁত’ চলছে দু’দেশের মধ্যে। কিন্তু এর মাঝেই ভারতের কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে গিয়েছে। যার নারকীয়তা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের উপর ‘কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছে ভারত। যার প্রভাব পড়তে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কেও! বাংলাদেশও এখন জল মাপছে। কারণ ভারত যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে তার প্রভাব পড়তে পারে ঢাকার উপরও।
