সুকুমার সরকার, ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ। এবার ইউনূসের 'নতুন বাংলাদেশে' জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। প্রধান উপদেষ্টার আমলে আসানরুল্লা বাংলা টিম, জেএমবি-সহ একাধিক সংগঠনের জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ঢাকা। এবার জেহাদিদের টার্গেটে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস! আর এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন। মার্কিন দূতাবাস-সহ আশেপাশের এলাকাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ মোকাবেলায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এলিট ফোর্স 'সোয়াট' (Special Weapons And Tactics (SWAT) মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন এই দূতাবাসের পাশেই রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। জানা যাচ্ছে, সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকার গুলশান-বারিধারার কূটনৈতিক পাড়ায় মার্কিন এই দূতাবাস। একটি গোষ্ঠী এই হামলার পরিকল্পনা করেছে বলে আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, মার্কিন দূতাবাস নিজেদের গোয়েন্দা সূত্রকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যে তিনজনের ছবি-সহ নাম প্রকাশ করেছে। জানা যায়, তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। এরপরেই দূতাবাসের তরফে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। শুধু তাই নয়, এহেন তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের তরফে ডিএমপি কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। একেবারে গোপনে চিঠি পাঠানো হয়। জানা যায়, সেখানেও মার্কিন দূতাবাস-সহ সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়।
এরপরেই দূতাবাস এবং গোটা এলাকার নিরাপত্তায় যুক্ত হয়েছে ডিএমপির বিশেষায়িত সোয়াট টিম, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। শুধু তাই নয়, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ এবং গুলশান বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এলাকায় যান। গোটা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
