সুকুমার সরকার, ঢাকা: তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েকদিন আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল কুখ্যাত ‘বোমা মৌলানা’ওরফে মুকিত হুসেন। পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করেছিল, খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশেই কাজ করছিল সে।
শনিবার নিজের জন্মস্থান তথা নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। বিএনপি-জামাতের তাণ্ডব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপির আন্দোলন হল- বাসে, ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষ পোড়ানো, সম্পদ নষ্ট করা। বিএনপি-খুনিদের আর জামাত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। আগামিদিনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খালেদাপুত্র তারেক রহমানকে ধরে এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। লন্ডন বসে সকল সন্ত্রাসের হুকুমদাতা সে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “বিএনপি নেতাদের চক্রান্তের সঠিক জবাব ৭ জানুয়ারি ভোটের মধ্য দিয়ে দেওয়া হবে। তারেকের মতো একজন লম্পটের নির্দেশে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দিচ্ছে? দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে বসে মানুষ খুন করার নির্দেশ দিচ্ছে। আমাকে পর্যন্ত হত্যার চেষ্টা করেছে তারা। তারেকের কথা শুনে বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছে।”
[আরও পড়ুন: ঢাকায় মশার লার্ভা বাড়ছে হু হু করে, বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু]
এদিন ধানমন্ডিতে আওয়ামি লিগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক তথা সেতু ও সড়ক পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি প্রয়োজনে গুপ্তহত্যায় যাবে। লন্ডন থেকে এমন নির্দেশনা এসেছে বলে শুনতে পাচ্ছি। তারা আরও ভয়ংকর হামলা চালাতে পারে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।” তিনি আরও বলেন, “একটা দল কতটুকু দেউলিয়া হলে ভোট বর্জনের মতো লিফলেট বিতরণের পশ্চাৎযাত্রায় যেতে পারে,তা দেশের মানুষ দেখছে।”
অন্যদিকে আসন্ন নির্বাচন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির (BNP) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভি। শনিবার সকালে অসহযোগ আন্দোলনের জনমত তৈরি করতে লিফলেট বিতরণ শেষে এই আহ্বান জানান তিনি। ভোটবর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ফের রবি ও সোমবার দুদিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।