সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোম ও মঙ্গলবার ধর্মঘটে বিপর্যস্ত হল বাংলাদেশের রেল পরিষেবা। মূল বেতনের সঙ্গে অ্য়ালাউন্স যোগ করে পেনশন ও অন্য়ান্য সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতি করেন বাংলাদেশের রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এই রানিং স্টাফেদের মধ্য়ে রয়েছেন ট্রেনের চালক, গার্ড, টিকিট চেকাররা। এই কারণেই গত দুদিন পড়শি দেশে ট্রেন চলাচল করেনি বললেই চলে। যদিও এদিন ট্রেন ধর্মঘটের অবসান ঘটেছে। রানিং স্টাফদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর বুধবার ভোর থেকেই ঢাকা-সহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। এর ফলে গোটা দেশের হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চলমান বেতন ও ভাতার সঙ্গে যুক্ত করে পেনশন ও গ্র্যাচুইটির সুবিধা দাবি করে ধর্মঘট শুরু করেছিলেন 'রানিং স্টাফে'র কর্মীরা। এর ফলে সোমবার মধ্যরাত থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অসংখ্য যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে ধর্মঘটের জেরে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনের প্রায় এক কোটি পনেরো লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন, কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, "কমলাপুর স্টেশনের টিকেট বিক্রি থেকে দৈনিক ১ কোটি ১৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আয় হয়।" কাল ট্রেন বন্ধ থাকায় টিকেটের মূল্য ফেরত দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের।
ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেন চলাচল করছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বুধবার ভোর থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ভোর থেকে সাতটি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেছে। প্রথম ট্রেন রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে কমলাপুর ছেড়ে যায়। রাজশাহী থেকেও বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সেগুলোর মধ্যে সাগরদারী এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস এবং সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস উল্লেখযোগ্য।
