shono
Advertisement

ঢাকার অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৪৬, হতদের তালিকায় ২ সাংবাদিকও

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।
Posted: 09:17 PM Mar 01, 2024Updated: 09:19 PM Mar 01, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকার অগ্নিকাণ্ডে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই সাংবাদিকও। তাঁরা হলেন- তুষার হালদার ও অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন স্ত্রী ও ৩ সন্তান-সহ ইটালির এক বাসিন্দাও। তিনি প্রবাসী বাঙালি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, তুষার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে একটি নিউজ পোর্টালে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি অনলাইন মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন। এদিকে, অভিশ্রুতি ইডেন কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ঢাকার থাকতেন মৌচাকের সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির এলাকায়। অভিশ্রুতি গত জানুয়ারি মাসে যোগ দেন ওই একই পোর্টালে। চলতি মাসেই নতুন একটি কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তুষারের নতুন জায়গায় চাকরি উপলক্ষে দুজনে এদিন ওই ভবনের একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত সাংবাদিক, তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হালদার বলেন, “সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পাই। আমার স্ত্রী অসুস্থ। তাঁকে জানানো হয়নি।”

[আরও পড়ুন: ‘এখানে বসেই কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম, আজ সব ছাই’! ঢাকার আগুনে আক্ষেপ কলকাতার মেয়ের]

অন্যদিকে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সৈয়দ মোবারক নামে ইটালির এক প্রবাসীর। ছুটিতে তিনি দেশে এসেছিলেন। এই মাসেই তাঁর ইটালি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্ত্রী স্বপ্না আকতার, দুই মেয়ে সৈয়দা তুজ জোহরা (১৯) ও আমিনা আকতার (১৩) ও ছেলে আবদুল্লাহ (৮)। সবাইকে তাঁদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে সমাহিত করা হয়েছে। স্বপ্না আকতারের বোন আয়েশা আকতার বলেন, মোবারক কিছুদিন পরেই ইটালি চলে যেতেন। তাই সবাই মিলে খেতে গিয়েছিলেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে, এলিটবাহিনী র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশিদ আলম জানান, “নিচের একটি ছোট দোকানে প্রথমে আগুন লেগেছিল। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তাঁরা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। তবে পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন। ভবনটিতে একাধিক রেস্তরাঁ থাকায় প্রতিটি কক্ষ ও সিড়ি জুড়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার।” ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, “এই ঘটনায় মামলা হবে। বিল্ডিংয়ের কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল ছিল কি তা তদন্ত করে দেখা হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement