সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকে অনেকেই মজার মজার মিম বা ভিডিও দেখেন কিংবা শেয়ার করেন। একাধিক মিম পেজও মজাদার নানান ভিডিও বা ছবি পোস্ট করে থাকে। পছন্দ হলে তাতে অনেকেই আবার ‘হাহা’ রিঅ্যাকশনও দিয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কী ফেসবুকের এই ‘হাহা’ রিঅ্যাকশন ব্যবহার করা পুরোপুরি ‘হারাম’। ইসলাম (Islam) ধর্মের পরিপন্থী। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এমনই আজব নিদান দিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক মৌলবি। আর তাঁর এই নিদানের কথা জানতে পেরেই অবাক নেটিজেনরাও।
করোনা পরবর্তী যুগে মানুষ আরও বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জনপ্রিয়তা প্রতিদিনই বাড়ছে। আগে শুধু ‘লাইক’ রিঅ্যাকশন থাকলেও বর্তমানে ইউজাররা আরও নানারকম রিঅ্যাকশন দিতে পারেন। রয়েছে- Angry, Love, Sad, Haha কিংবা Care রিঅ্যাকশন। এই প্রসঙ্গেই বাংলাদেশি মৌলবি আহমেদুল্লাহর মত, শুধুমাত্র হাসির জন্য বা কেবল মজার জন্য কেউ যদি ‘হাহা’ রিঅ্যাকশন দেয়, তাহলে তাতে খারাপ কিছু নেই। কিন্তু কেউ যদি স্রেফ কারওর মজা ওড়ানোর জন্য বা বিদ্রুপ করার জন্য ‘হাহা’ রিঅ্যাকশন দেয়, তাহলে সেটা কখনই করা উচিত নয়। এই কাজে ইসলাম অনুমতি দেয় না।
[আরও পড়ুন: চশমা ছাড়া খবরের কাগজ পড়তে পারেননি হবু বর, বিয়েই ভেস্তে দিলেন কনে!]
ফেসবুক এবং ইউটিউবে বাংলাদেশের মৌলবি আহমেদুল্লাহর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। প্রচুর ফলোয়ারও রয়েছে তাঁর। এছাড়া টেলিভিশনের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসেও বক্তব্য রাখতে দেখা যায় আহমেদুল্লাহকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে আহমেদুল্লাহকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভগবানের দোহাই। এই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। কাউকে বিদ্রুপ করতে হাহা রিঅ্যাকশন দেবেন না। আপনি যদি কোনও মুসলিমকে এভাবে বিদ্রুপ করেন, তাহলে তিনি আপনাকে পালটা বাজে কথাও বলতে পারেন। এই ধরনের কাজ করা ইসলামের পরিপন্থী।” ইতিমধ্যে আহমেদুল্লাহর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। তবে এই আজব নিদানের জন্য নেটিজেনদের অনেকেই ওই পোস্টে ‘হাহা’ রিঅ্যাকশনও দিয়েছেন।