শংকরকুমার রায়,রায়গঞ্জ: পুজোর প্রসাদ খেয়ে ছাদনাতলায় পৌঁছনো হল না হবু বরের। বিয়ে করতে কনের বাড়ি যাওয়ার মুহুর্তে বমি করতে করতে হাসপাতালে ভরতি হতে হল বর-সহ প্রায় ৪০ জনকে। শেষমেশ বাতিল করতে হল বিয়ে। বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর ছাড়িয়ে মোহিনীগঞ্জ গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার বিয়ে ছিল বাড়ির বড় ছেলের। আর সেই বিয়ের আগে মঙ্গলবার রাতে মোহিনীগঞ্জের বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পাড়াপড়শি মিলে পঞ্চাশজন অতিথি এসেছিলেন। প্রত্যেকেরই আবার বরযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুজোর সিন্নি প্রসাদ খেয়ে বিয়ের আগেরদিন সকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই নাগাড়ে বমি ও পেট ব্যথা শুরু হয়, সঙ্গে পেটের সমস্যা। এই অবস্থায় তীব্র পেট ব্যথায় শেষপর্যন্ত একে একে ৪০ জন অসুস্থ হয়ে গ্রামের ব্লক হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘন্টা পরও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় বর-সহ দশজনকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: শহরের প্রান্তে অবস্থিত ‘মাছের ভেড়ি’ই হয়ে উঠেছিল বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের সল্টলেক!]
বরের এক প্রতিবেশী অমলচন্দ্র বর্মন বলেন,”প্রসাদ খেয়ে কাকু-কাকিমা ও মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি আছে। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও শারীরিক অবস্থার একফোঁটা উন্নতি হয়নি। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কী করব বুঝতে পারছি না।” তবে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েই সম্ভবত অসুস্থ হয়েছে।”
