ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রেমিক ইদানীং সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে শুরু করেছিলেন। ফোন করা তো বন্ধই করে দেন। প্রেমিকা নিজে থেকে ফোন করে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করায় মাসদুয়েক আগে মোবাইল ফোনের সিমকার্ডও পরিবর্তন করে ফেলেন প্রেমিক। লকডাউনের কারণে প্রথম দিকে ধৈর্য ধরেছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় লকডাউন অমান্য করেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কালুত্তক গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসে ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। খবর পায় পুলিশ। তারপর ভাতার থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রেমিকাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বহরমপুরের বাসিন্দা সামিরুন খাতুন নামে ওই যুবতীর বছর আটেক আগে কলকাতায় বিয়ে হয়েছিল। ৬ বছর বয়সি একটি মেয়েও আছে তাঁর। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি বাপেরবাড়িতে চলে আসেন। যদিও মেয়ে রয়ে গিয়েছে বাবার কাছেই। সামিরুন বলেন, “২ বছর আগে কালুত্তক গ্রামের তুহিন শেখের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর ঘনিষ্ঠতা। ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর একাধিকবার আমরা যৌনতাতেও মেতে উঠি। তবে প্রায় তিনমাস ধরে ও এড়িয়ে চলতে থাকে। আমি ফোন করলে এড়িয়ে যেত। তারপর সিমকার্ড খুলে ফেলে দেয় মাসদুয়েক আগে। লকডাউনের কারণে আমি বাড়িতে এতদিন আটকে ছিলাম। অগত্যা ধৈয্হারা হয়ে কালুত্তক আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি তুহিনের কাছে জানতে চাই কেন ও আমার সঙ্গে বেইমানি করল।”
[আরও পড়ুন: যাত্রী দেখে তবেই বাড়বে বেসরকারি বাসের সংখ্যা, ১ ঘণ্টা অন্তর চলবে ভেসেলও]
শনিবার এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে সামিরুন প্রথমে এসে তুহিন শেখের বাড়িতে যান। তুহিনের পরিবার তাঁকে ঢুকতে বাধা দিলে বাড়ির কাছে খামারবাড়িতে ধরনা শুরু করেন। বাড়িতে অবশ্য পাওয়া যায়নি প্রেমিককে। প্রেমিকের মা জয়বুন্নেসা বিবি বলেন, “আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই মেয়েটি ভাল নয়।” ধরনা শুরু করার পর গ্রামের প্রচুর লোকজন ভিড় করেন। তারপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সামিরুনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পুলিশ জানায় এনিয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ছবি: জয়ন্ত দাস।
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে চিকিৎসা পরিষেবা মজবুত করতে ৫০০ ডাক্তার-নার্স নিচ্ছে রাজ্য]
The post সহবাসের পর বিয়েতে আপত্তি, লকডাউন অমান্য করে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরণায় তরুণী appeared first on Sangbad Pratidin.
