শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পরকীয়ার প্রতিবাদের শাস্তি। ভিনরাজ্যে স্ত্রীর হাতে খুন বাংলার (West Bengal) শ্রমিক। নিজের দুই সন্তানকেও খুন করেছে অভিযুক্ত বধূ। মৃতরা উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) বাসিন্দা। তবে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের ফরিদাবাদে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলা ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রায়গঞ্জের গৌরি পঞ্চায়েতের হাতিয়া স্কুল সংলগ্ন পাঠালটুলির বাসিন্দা মঙ্গু শেখ। এক ঠিকাদারের অধীনে পঞ্জাবের সীমান্তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন মঙ্গু ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। গত বছরই পাঁচ বছরের ছেলে আলি শেখকে নিয়ে পাঞ্জাবে (Punjab) পাড়ি দিয়েছিল ওই দম্পতি। পরবর্তীতে ৮ বছরের সোহেল আলি ও মেয়ে আদুরি খাতুনকেও কর্মস্থলে নিয়ে যায় তাঁরা। অভিযোগ, কর্মসূত্রেই ঠিকাদার অরিজিৎ সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় মর্জিনার। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সহবাসও করে তারা। তাদের এই অবাধ মেলামেশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মর্জিনার স্বামী মঙ্গু। সেই কারণেই খুনের ষড়যন্ত্র করে প্রেমিক যুগল।
[আরও পডুন: কালিয়াচক হত্যাকাণ্ড: পুলিশের হাতে আসিফের গোপন মোবাইল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে কললিস্ট]
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবে ফরিয়াবাদ সীমান্ত ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার বাড়িতে মঙ্গু ও তাঁর দুই শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে অরিজিৎ ও মর্জিনা। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ্যদর্শী আদুরি খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। তারপর খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জে। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে পাঞ্জাবের হাসপাতালের মর্গ থেকে তিনজনের দেহ নিয়ে রায়গঞ্জের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার দেহ পৌঁছয় গ্রামে। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে।