সুবীর দাস, কল্যাণী: সম্পর্কের টানাপোড়েনের জল গড়িয়েছিল আদালতে। সেখানেই ভয়ংকর কাণ্ড। কল্য়াণী মহকুমা আদালতে ঢোকার মুখে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। উঠে এসেছে পরকীয়ার তত্ত্ব।
আক্রান্ত মহিলার নাম রূপালি হালদার। বয়স ২৯ বছর। নদিয়ার শিমুরালির বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্বামী সুমন সাহা। দম্পতির একটি সাতবছরের সন্তান আছে। বছর তিনেক আগে দম্পতির সংসারে শুরু হয় অশান্তি। চলতি মাসে ঝামেলা চরমে ওঠে। এরই মাঝে গত ১৯ তারিখ বাড়ি ছেড়ে চলে যান ওই মহিলা। পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি করা হয়। চাকদহ থানার পুলিশ রূপালিদেবীকে ফোন করলে তিনি জানান, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এরপর মহিলাকে থানায় দেখা করতে বলা হয়। মঙ্গলবার রূপালিকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিকে সুমনও যান আদালতে।
অভিযোগ, আদালত চত্বরেই আচমকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে আঘাত করেন সুমন। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুমনকে। অন্যদিকে রূপালিকে আশঙ্কাজনক ভর্তি করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালেও। কিন্তু কেন অশান্তি? কেন এই হামলা? মহিলার পরিবার সূত্রে খবর, এর নেপথ্যে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সূত্রের খবর, পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন রূপালি। সেই কারণেই এই হামলা। যদিও পুলিশ এবিষয়ে নিশ্চিত করে কোনও তথ্য দিতে পারেনি।