দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ছাত্র খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ডানকুনি (Dankuni)। দু্র্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৭ জনকে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক সুদীপ্ত দুয়ারি ডানকুনির বাসিন্দা। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। মঙ্গলবার ভোরবেলা এক বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন ওই যুবক। ফেরার পথে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে বচসা হয় সুদীপ্তর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এরপর সিভিক ভলান্টিয়াররা বেধড়ক মারধর করে সুদীপ্ত ও তাঁর বন্ধুকে। কোনওক্রমে বন্ধু প্রাণ নিয়ে পালাতে পারলেও রক্ষা পাননি সুদীপ্ত। অভিযোগ, মারধরের পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়াররা নয়ানজুলিতে ফেলে দেয় ওই যুবককে। পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা ডানকুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, দেহ দেখতে পেলেও উদ্ধার কাজে হাত লাগায়নি পুলিশ। পরে বুধবার সকালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারের নয়ানজুলি থেকে সুদীপ্তর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
[আরও পড়ুন: ভাঙন অব্যাহত, বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূল ছাড়লেন পানিহাটির তিন বিদায়ী কাউন্সিলর]
উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিশাল পুলিশ বাহিনীর সামনেই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে স্থানীয়রা। ভাঙচুর চালায় পুলিশের গাড়িতে। এরপর পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তা নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। নামানো হয় ব়্যাফ। দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা এলাকাতেই রয়েছে। সুদীপ্তের দাদা তাদের শনাক্তও করেছে, কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দুয়ারি পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের।