অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়ার দাসনগরে মায়ের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যু হল ছেলেরও। রবিবার সন্ধ্যার পরে দাসনগরের বালিটিকুরির ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রৌঢ়া রাসমণি নন্দীর মৃতদেহ। বাড়িতেই অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল বছর ত্রিশের ছেলে সুরজ নন্দীকে। তাঁকে উদ্ধারের পর হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল পুলিশ। সেখানেই রাত বারোটার পর তিনি মারা গেলেন।

প্রৌঢ়া মা ও ছেলে দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে খবর। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা অসুস্থও ছিলেন। মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা থেকেই মা ও ছেলে মারা গিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। রাসমণির পর সুরজের মৃত্যুর খবর আসায় প্রতিবেশীরাও মুষড়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, বালিটিকুরির জেলেপাড়ায় ওই বাড়ির আশেপাশে গত রবিবার পচা গন্ধ বেরতে থাকে। ওই বাড়ির চারদিকে অনেক মাছিও উড়তে দেখা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরে। এদিকে বাড়ির দরজা-জানলাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।
মা ও ছেলেকে গত ১৫ দিন ধরে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ দাসনগর থানার পুলিশ ওই বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। একতলার ঘরে খাটের উপর মরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। শরীরের একাধিক জায়গায় পচন ধরেছিল। চার-পাঁচদিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এরপর দোতলার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অসুস্থ ছেলেকে। তাঁদের আত্মীয়দেরও খবর দেওয়া হয়েছিল। সুরজ কোনও কাজকর্ম করতেন না। মাঝেমধ্যে বাজার, দোকান করতে বাইরে বেরতেন। মা-ছেলে সেভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করতেন না বলে জানান প্রতিবেশীরা।