সুমন করাতি, হুগলি: রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু ভোট (Panchayat Election 2023) আসলেই দেখা যায় সাংসদকে। কিন্তু অন্য সময় সাংসদের দেখা পাওয়া যায় না কেন? এমন সব প্রশ্ন উড়ে এল বিজেপি সাংসদের দিকে।
রবিবার সিঙ্গুরে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রচারে এসে সিঙ্গুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আতালিয়া এলাকায় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল সাংসদকে। স্থানীয়রা একাধিক অভিযোগ জানাতে থাকেন। কেউ বলেন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। আবার কেউ প্রশ্ন করেন, সারাবছর কেন তাঁর দেখা পাওয়া যায় না? যদিও সুযোগসুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে দায় শাসকদলের উপর চাপিয়ে লকেট বলেন, “এখন তৃণমূল সরকার চালাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ব্যোমকেশ নিয়ে যুদ্ধ! দেবের প্রি-টিজারের পরই প্রকাশ্যে সৃজিতের ‘দুর্গ রহস্য’র পোস্টার]
কিন্তু সাংসদের উত্তরে খুশি না হয়ে এলাকার অনেকেই বলতে শুরু করেন সিপিএম বা বিজেপি খোঁজখবর কেউ রাখে না। অথচ ভোটের সময় সবাই আসে ভোট চাইতে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট বলেন, “মানুষ ভাবছে সাংসদ হয়তো সব করতে পারেন। কিন্তু মানুষ জানে না সব কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য সরকারের হাত দিয়ে আসে। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। অবশ্য মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। বিজেপি সরকারে না আসা পর্যন্ত যাঁরা সাংসদ তাঁরা কাজ করতে পারছি না।”
নির্বাচনী আবহে লকেটকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সিঙ্গুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, “বিজেপি সাংসদ লকেট লোকসভা ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেগুলি পূরণ করতে পারেননি। আর সারাবছর এলাকাবাসী সাংসদকে দেখতে পান না। তাই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সকলে। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বাংলার বিজেপি নেতাদের চক্রান্তে কেন্দ্র বাংলার আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। সারাবছর মানুষের জন্য তৃণমূল কাজ করছে। আর ভোটের সময় বিজেপি ভোট চাইতে আসছে। তাই বিক্ষোভই স্বাভাবিক।”