বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: দলীয় জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে নদিয়ার চাকদায় আক্রান্ত বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার নদিয়ার হিংনাড়া স্কুলের মাঠে একটি জনসভায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন শমীক। চাকদহের চৌমাথা মোড়ে তাঁকে কালো পতাকা দেখায় স্থানীয়রা। তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি বিজেপির।
[ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চাঁই]
বিজেপির অভিযোগ ,এদিন চাকদহের হিংনাড়া হাইস্কুলের মাঠে দলের জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন শমীক ভট্টচার্য। আচমকাই চাকদহের চৌমাথা মোড়ে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের লোকজন। তাঁরা অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ,পাঠকেল ছোঁড়া হয়। তাতে প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। তার হাতে চোট লাগে বলেও অভিযোগ বিজেপির। প্রবল প্রতিরোধের মুখে বাধ্য হয়ে গাড়ি থামিয়ে বাইরে আসেন শমীক ভট্টচার্য। তাঁকে দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে আসার চেষ্টা করে আক্রমণকারীরা। শমীকবাবুর গাড়ির পেছনে ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের দুটি গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এসে শমীক ভট্টাচার্যকে উদ্ধার করেন।
[স্ক্রুটিনির পর বদল কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীর ফলে, পালটাতে পারে মেধাতালিকা]
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ মেনে নেয়নি তৃণমূল। তৃণমূলের চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ কর বলেন, “তৃণমূলের লোকজন কখনওই এই কাজ করতে পারে না। বিজেপির আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করছে।” রত্না ঘোষ করের পাল্টা অভিযোগ, “হয়ত নিজেরাই শিরোনামে আসার জন্য এই কাজ করে তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলছে। এমনিতেই অসমের নাগরিকপঞ্জি তৈরির নামে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপির নেতাদের উপর। এটা মানুষের সেই ক্ষোভের প্রকাশও হতে পারে। তবে এটা তৃণমূলের কাজ নয়।” ঘটনার পর এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে চাকদহে।
The post চাকদহে আক্রান্ত শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর appeared first on Sangbad Pratidin.
