অংশু প্রতিম পাল, খড়গপুর: খড়গপুরে ফের উত্তেজনা। দেশি পিস্তল নিয়ে গ্রেপ্তার এক যুবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। রাজনৈতিক মোড় নিয়েছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক বিজেপি কর্মী। এরপরেই চরমে উঠেছে দুই দলের তরজা।
জানা গিয়েছে, একটি দেশি পিস্তল-সহ নারায়ণগড় থানার পুলিশের হাতে গ্ৰেপ্তার হয়েছেন বিজেপির এক সক্রিয় কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম জ্যোতি জানা। বয়স ২৬ বছর। অই যুবকের বাড়ি বেলদায়। ধৃতকে শনিবার খড়গপুর এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের নির্দেশে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ধৃত যুবককে।
ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগড় থানা এলাকার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলের ম্যানেজারকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন তিনি। ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে এই চাপ দেন। অভিযোগকারীর দাবি, টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, টাকা চাওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে এই বিজেপি নেতা নিজেই হোটেলে পৌঁছে যান।
হোটেলে পৌছে টাকা দাবি করেন ওই নেতা। এই সময়, হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। হোটেলের কর্মীরা এই বিজেপি কর্মীর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। দেখা যায় ব্যাগে রয়েছে একটি দেশী পিস্তল। তারপরেই খবর দেওয়া হয় নারায়ণগড় থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, ওই বিজেপি কর্মীর গ্ৰেপ্তারের ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে চরমে উঠেছে তরজা। এই প্রসঙ্গে, বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র অরূপ দাস বললেন, "পুলিশ ও তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে ওকে ফাঁসিয়েছে।" অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা রঞ্জিত বোস বলেন, "ওই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। হোটেল মালিকের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে তোলা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে ধরেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।" তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলদায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
