নন্দন দত্ত, বীরভূম: মেস বাড়িতে নার্সের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তরুণীকে। নেপথ্যে নাকি কর্মস্থল অর্থাৎ বেসরকারি হাসপাতাল। ঠিক কী ঘটেছে? আত্মহত্যা নাকি খুন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম জুলি খাতুন। বয়স ২৪ বছর। আদতে বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি। তবে কর্মসূত্রে চার বছর ধরে থাকতেন রামপুরহাটের হাসপাতাল পাড়ায়। সেখানকার একটি মেসবাড়িতে থাকতেন জুলি। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ সেখানেই মেলে নার্সের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুহাট মেডিক্যালে। সেখানেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবার ও পরিজনরা।
[আরও পড়ুন: তাঁর উত্থানে অখুশি তৃণমূলের একাংশ? একান্ত সাক্ষাৎকারে কী বললেন ‘ভাইরাল’ রাজন্যা]
মৃতার বাবার অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় খুন করা হয়েছে জুলিকে। নেপথ্যে নাকি যে বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন জুলি সেখানকার কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতালের তরফে পনি বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি মহরম উপলক্ষ্যে বাড়ি গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তারপর স্বাভাবিকভাবেই কাজে যোগ দেন। গতকালও নাকি স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। তবে একটি ফোনালাপ নিয়ে তিনি খানিকটা অবসাদে ছিলেন বলেও দাবি করেছেন পনি বিশ্বাস। ঠিক কী হয়েছিল, কেন এই মৃত্যু তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
