আকাশনীল ভট্টাচার্য,বারাকপুর: চারদিন নিখোঁজ থাকার পর যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ জগদ্দলের চাঁপদানি ঘাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় সাব্বির আহমেদ নামে ওই যুবকের দেহ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বারাকপুরের মনিরামপুরের বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ নামে ওই যুবক। পেশায় জুটমিল কর্মী তিনি। ২১ অক্টোবর থেকে বেপাত্তা ছিলেন সাব্বির। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না মেলায় যুবকের পরিবারের তরফে বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে জগদ্দলের চাঁপদানি ঘাটে ভেসে ওঠে একটি দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। এরপর সাব্বিরের পরিবার দেহটি শনাক্ত করলে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ওই যুবকের মাথায় গভীর আঘাতের দাগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মৃতের বাবা ইস্তিয়াক আহমেদ জানান, মনিরামপুর এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী বারবার সাব্বিরকে জুয়া ও সাট্টার ঠেকে বসার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সাব্বির। অভিযোগ, সেই ক্ষোভেই মাথায় গুলি করে সাব্বিরকে খুন করে ওই দুষ্কৃতী। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দুষ্কৃতীরা গলায় দড়ি বেঁধে পাথর ঝুলিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় সাব্বিরকে। কিন্তু সত্যিই কি জুয়ার ঠেকে বসতে রাজি না হওয়ার কারণেই খুন হতে হল সাব্বিরকে? কীভাবে খুন করা হল তাঁকে? কারাই বা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? এহেন একাধিক প্রশ্নের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে বারাকপুর থানার পুলিশ। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি জোন ১ অজয় ঠাকুর জানান, প্রাথমিকভাবেই মনে করা হচ্ছে এটি খুনের ঘটনা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই সাব্বিরের মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে।
[আরওপড়ুন:সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ ২ যুবক, মৃত্যু বলে আশঙ্কা পরিবারের]
The post চারদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার যুবকের হাত-পা বাঁধা দেহ, ঘনীভূত রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.
