অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন কাশ্মীরের (Kashmir) অনন্তনাগে শহিদ বাংলার জওয়ান শ্যামল দে। স্বাক্ষী থাকলেন সবং (Sabang) থানার সিংপুর-সহ লাগোয়া বহু গ্ৰামের হাজার হাজার মানুষ। চোখের জলে গ্ৰামের গর্ব বীর সন্তান বুম্বাকে (শ্যামল) শেষ বিদায় জানালেন প্রত্যেকে। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেব-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সিআরপিএফের আধিকারিকরা।
শুক্রবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগে টহলদারির সময় জঙ্গিদের অতর্কিত আক্রমণে শহিদ হন সবং থানার সিংপুর গ্ৰামের বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান শ্যামল দে। শনিবার রাতে এই জওয়ানের মৃতদেহ পৌঁছয় মেদিনীপুর শহরে। রবিবার ভোরে সিআরপিএফের ১৬৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা শহিদ শ্যামলের কফিন বন্দি দেহ নিয়ে পৌঁছয় সিংপুরের বাড়িতে। দেহ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। সকলের প্রিয় শ্যামলকে শেষ দেখা দেখতে গোটা গ্রাম জড়ো হয় দে-বাড়ির উঠোনে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র খেজুরি, পড়ল বোমা, গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতা]
বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর থেকে সিংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় শহিদের কফিনবন্দি দেহ। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফের ডিজি প্রদীপ কুমার সিং, কমান্ডিং অফিসার বিনোদ কুমার, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার-সহ সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।
ছিলেন সাংসদ দেব, বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ, যুব কংগ্রেস নেতা শেখ সইফুল ও অন্যান্য আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
স্কুলের মাঠে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জওয়ানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এদিন সিআরপিএফের আইজি প্রদীপ কুমার সিং বলেন, “এই জওয়ানের মৃত্যু আমাদের একটা বিরাট ক্ষতি। বাহিনী এই পরিবারের পাশে সবসময় থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত রকমের ক্ষতিপূরণ পাবে পরিবার।” শোকে পাথর শহিদের বাবার গলায় শুধু আক্ষেপের সুর। একটাই কথা, “সরকারের ভুলেই ছেলেকে হারালাম।”
[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক হিংসার জন্য বাংলায় বিনিয়োগ নেই’, ভারচুয়াল সভামঞ্চ থেকে রাজ্যকে তোপ নির্মলার]
The post পঞ্চভূতে বিলীন কাশ্মীরে শহিদ জওয়ান শ্যামল, চোখের জলে ঘরের ছেলেকে বিদায় দিল সবং appeared first on Sangbad Pratidin.