বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: অশান্তির আবহে পুড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh Violence)। সেই আবহে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে পারে জঙ্গিরা! ‘সেভেন সিস্টার্স’, চিকেনস নেক-এ হামলার ছকের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবর আসার পরেই আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হল। উত্তরের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিটি সেতুতে আধা সামরিক বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা সেতুতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) আপৎকালীন মহড়াও চলে।
সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের অশান্ত বাংলাদেশ। সেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার আগুন জ্বলছে। ভারতের হাই কমিশনের দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ চলেছে। হাই কমিশনারের বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করে 'চিকেনস নেক'-এ হামলার ছক কষা হচ্ছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চরম 'সতর্কতা' জারি করে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে তিস্তার (Teesta) মতো গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বিএসএফের আপৎকালীন মহড়া। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা নদীপথে ভারতে ঢুকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সেতুগুলিকে টার্গেট করতে পারে। এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী করতে হবে, তারই মহড়া হয় এদিন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৯৫ কিলোমিটার এলাকায় নদী, জমির সমস্যার জন্য কাঁটাতারের বেড়া নেই। আবার নদীর পারে কাঁটাতার থাকলেও তাতে নিরাপত্তা পুরোপুরি সুনিশ্চিত হয়নি। ওই এলাকায় বিএসএফ টহল বাড়ানো হয়েছে। সিকিম থেকে নেমে তিস্তা নদী সেবক হয়ে জলপাইগুড়ি জেলা অতিক্রম করে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের রংপুরে পৌঁছেছে। এই নদীপথে শিলিগুড়ি-ময়নাগুড়ির মধ্যে সেতুটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মঙ্গলবার এখানেও মহড়া চলে।
