রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে আনা হচ্ছে সম্বর। জানা গিয়েছে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্য নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫০টি শম্বর এনে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
[ রাস্তার গরুকে ‘ফলো’ করে মালিকদের খোঁজ করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা ]
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “বাইরে থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এনে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়ার কাজও শুরু হয়েছে। সেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্যভাণ্ডার তৈরির জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে তৃণভোজীদের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। এর আগে তিন দফায় মোট ৩৩৫টি হরিণ এনে এই জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল। এবার জলদাপাড়া থেকে সম্বর এনে ছাড়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০টি সম্বর জলদাপাড়া থেকে এনে এখানে ছাড়ব।”
[পুরুলিয়া স্টেশনে সন্তান প্রসব, সহযোগিতা করলেন রেলকর্মীরা ]
উল্লেখ্য, গোটা দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়লেও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা বাড়ার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকী এই জঙ্গলে বাঘ রয়েছে কিনা তাই নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে শেষবার বাঘ সুমারি হয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে। সেবার বাঘ সুমারিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে তিনটি বাঘের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে আলিপুরদুয়ারে ৭৬০ বর্গকিমি জুড়ে বক্সা বাঘ বনকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প নাম দেওয়া হয়। এই ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে অতীতে বাঘ থাকার নানান নজির থাকলেও বর্তমানে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বাঘের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রশ্ন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য বাইরে থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এনে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর।
The post রয়্যাল বেঙ্গলের খাবারে টান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে আনা হচ্ছে ৫০টি সম্বর appeared first on Sangbad Pratidin.
