বাবুল হক, মালদহ: মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগে সন্দেহভাজন গাড়িকে আটক করল পুলিশ। বৈষ্ণবনগর থেকে আটক হওয়া গাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মানিকচক থানার পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোনটিও। পুরোদমে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার সেকথা নিজেই জানালেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তবে আটক ব্যক্তির দাবি, তিনি কাউকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেননি, স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আটক হওয়া সন্দেহভাজন গাড়ি। নিজস্ব ছবি।
ঘটনা গত শনিবার রাতের। মানিকচক থেকে মালদহ শহরের দিকে যাওয়ার পথে তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা মহিলা তৃণমূলের নেত্রী সাবিত্রী মিত্রকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র হচ্ছিল বলে মানিকচক থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক। অভিযোগপত্রে গাড়ির নম্বর হিসেবে আংশিকভাবে ৪৭০৬ উল্লেখ করে সাবিত্রী মিত্র। এরপর এই নম্বর ব্যবহারকারী রাজ্যের সমস্ত গাড়ির উপর নজরদারি চালায় পুলিশ। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তাতে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৮ মাইল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সানিজ আক্তারের নাম উঠে আসে। তিনিই গাড়ির মালিক বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে পুলিশ।
এরপর গাড়ির মালিককে মানিকচক থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্তারা। ওই ব্যক্তির গাড়িটিকে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে তাঁর মোবাইল ফোনটিও নিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির মালিক মহম্মদ সানিজ আক্তার পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ব্যবসা সূত্রে প্রতিনিয়ত মানিকচকে আসেন। শনিবারও মানিকচক আসার পর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় কোনও কিছু ঘটনাই ঘটেনি। যেভাবে অন্যান্য গাড়ির পাশ কাটিয়ে যায় একটি গাড়ি, ঠিক সেভাবেই গিয়েছিলেন তিনি। সানিজ আক্তারের কথায়, ''আমি কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করিনি। পুলিশি তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করব।'' তবে এই গোটা ঘটনায় তাঁর গাড়ি, মোবাইল ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করায় তিনি মানসিক চাপে রয়েছেন।
