সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার! সেই প্রকল্পগুলি নিজের খরচে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হিসাব দিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলেন, "ওরা দেখতে পায় না।"
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন জটিলতায় আটকে রয়েছে। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলছে। আবাস যোজনা, একশো দিনের প্রকল্প-সহ বেশ কয়েকটি খাতে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিনের সভা থেকে দাবি করেছেন, বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজ্য কেন্দ্রের থেকে পাবে। সেই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলার বাড়ি প্রকল্প, একশো দিনের কাজের টাকা রাজ্য নিজের পকেট থেকে দিয়েছে।
এদিন সভা থেকে খতিয়ান তুলে মমতা বলেন, "আগে ১২ লক্ষ, এখন ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানানোর টাকা দেওয়া হল। ২৮ লক্ষ মানুষ উপকৃত হলেন। ১৪, ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব।" পাশাপাশি জিএসটি থেকে প্রাপ্ত টাকাও কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "জিএসটি কেন্দ্রীয় সরকার সংগ্রহ করে, আমরা সাহায্য করি। সেই টাকাটাও আমরা ঠিকঠাক পাই না।" এসবের বাইরে শিল্পপতিদের উপর কর চাপাচ্ছে কেন্দ্র, তারও বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষেরও বেশি আলুচাষিকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চলতি রবি মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যেসব কৃষকের আলু চাষে ক্ষতি হয়েছিল, তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে।
এদিনের সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ৯ কোটির বেশি ব্যয়ে বীরপাড়ায় হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। চা সুন্দরী প্রকল্পে মাদারিহাটে চা শ্রমিকদের জন্য ২৯৮টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। মাদারিহাটে সেতু তৈরিতে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সভা থেকে বলেন, "আমরা কথা দিলে কথা রাখি।"