নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: এবার ঠাকুরবাড়ির পূণ্যস্নান ও মেলা নিয়েও প্রকাশ্যে মতুয়া মহাসংঘের দুই গোষ্ঠীর মতানৈক্য। মমতাবালা ঠাকুর নাকি ছবিরানি ঠাকুর, পূণ্যস্নানের অনুষ্ঠানে বীণাপাণি দেবীর শূণ্যস্থান পূরণ করবেন কে? তা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ঠাকুর পরিবারের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে ভোট উৎসব, রাজনৈতিক দলের প্রচারে বাংলার বানানের দফারফা]
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ওরাকান্দিতে ঠাকুর পরিবারের এই মেলা শুরু হয়ে ছিল। পরে ১৯৪৮ সালে প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ঠাকুরনগরে এই মেলার সূচনা করেন। সেই থেকেই বরাবরই প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এই মেলায়। প্রতিবছরের মতো এবারও স্নান ও মেলায় ভিড় জমিয়েছেন দূর-দূরান্তের ভক্তরা। পসরা সাজিয়েও বসেছেন দোকানিরা। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনিক তৎপরতাও রয়েছে। ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। ভিড় সামলাতে মোতায়েন রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। গোটা বিষয়টির দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
কিন্তু এখানেও প্রকাশ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব। বরাবরই বীণাপাণি দেবী স্নান সেরে পুজো দেওয়ার পর ভক্তরা পূণ্যস্নান শুরু করতেন। কিন্তু এবছর বড়মার অবর্তমানে কে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন? এই নিয়েই শুরু হয়েছিল তরজা। মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরবাড়ির মমতাবালা ঠাকুরপন্থী মতুয়া মহাসংঘের সম্পাদক সুখেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বড়মা বীণাপাণিদেবীর শূন্যস্থান আপাতত মমতাবালা ঠাকুর সামলাচ্ছেন। তাই এবছরে তিনিই স্নানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন। অন্যদিকে অপর মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের দাবি, এবছর স্নান করে মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন ঠাকুরবাড়ির মতুয়া ভক্তদের ছোটমা অর্থাৎ তাঁর মা ছবিরানি ঠাকুর। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন শান্তনু ঠাকুর।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী ম্যাসকট ভোট্টুর সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক বর্ধমানে]
বড়মা অর্থাৎ বীণাপাণি দেবীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দাহ থেকে অন্ত্যেষ্টি, বারবার স্পষ্ট হয়েছে পারিবারিক অশান্তির ছবি। এমনকী রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকেও বরাবরই প্রতিপক্ষ ঠাকুরবাড়ির দুই গোষ্ঠী। সেই কারণে বারবার একে অপরকে আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এবার বংশ পরম্পরার অনুষ্ঠানের মাঝেও প্রকাশিত ব্যক্তিগত ক্ষোভ। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
The post মতুয়া ঠাকুরবাড়ির পূণ্যস্নানেও মতানৈক্য, স্পষ্ট রাজনৈতিক লড়াই appeared first on Sangbad Pratidin.
