বাবুল হক, মালদহ: একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে মালদহে। সোমবার ইংরেজবাজার থানার নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মেয়ের ‘প্রেমিক’কে (Malda Lover Murder) ফোন করে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে আবার মালদহের বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
মৃতদের মধ্যে একজনের নাম শাম্বিকা রায় ওরফে খুকু। বয়স ১৮। আরেকজন ২২ বছরের যুবক। নাম রনি দাস। ইংরেজ বাজারের তেলিপুকুর এলাকার বাসিন্দা শাম্বিকা। আর রনি থাকতেন ইংরেজবাজারেরই বাগবাড়ির দুর্গাপল্লী এলাকায়। মালদহ বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় পড়ে ছিল দু’জনের দেহ। কিছুটা দূরে একটি দামি মোটরবাইকও উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে আরও কমল করোনার দাপট, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫৭৯ জন]
প্রথমে স্থানীয়রাই যুবক ও যুবতীর দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। একটু খোঁজখবর নেওয়ার পর দু’জনের পরিচয় জানা যায়। যুবক ও যুবতীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তা এসে দেহ শনাক্ত করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে ছিলেন ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর ফলেই হয়তো দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন যুবক-যুবতী। মনে করা হচ্ছে, প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে। বাইক প্রায় ৭০ মিটার স্কিড করেছে বলে অনুমান। তা ফিতে দিয়ে মেপেও দেখেছে পুলিশ।
তবে রনি ও শাম্বিকার পরিবারের দাবি তাঁরা প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন না। রনিকে চেনেন না বা কোনওদিন দেখেননি বলেই দাবি শাম্বিকার পরিবারের। একই দাবি রনির পরিবারেরও। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলও ভালভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিমানবন্দরের গেট প্রায়দিনই খোলা থাকে। সেই সুযোগে রাতবিরেতে বাইকাররা ঢুকে পড়ে। অনেক সময় বাইক রেস হয় বলেও অভিযোগ।