অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে গেল ডাউন ফলকনুমা এক্সপ্রেসের (Falaknuma Express) পিছন দিকের তিনটি বগি। বেলদার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
শনিবার দুপুর ৩টে ২০ নাগাদ ডাউন সেকেন্দ্রবাদ-হাওড়া ফলকনুমা এক্সপ্রেসটি ফিরছিল। বেলদার কাছে কাপলিং ভেঙে এক্সপ্রেস থেকে ৩টি বগি খুলে যায়। ইঞ্জিন-সহ ২২টি বগি নিয়ে ট্রেনটি হাওড়ার দিকে ছুটতে শুরু করে। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা এভাবেই হাওড়ার দিকে চলে আসে। আচমকাই বিষয়টি ট্রেনের গার্ডের নজরে আসে। তিনি চালককে সতর্ক করেন। এরপর আপদকালীন ব্রেক কষে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ডাউন ফলকনুমা এক্সপ্রেস।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, কলকাতার কলেজের নয়া পোশাক ফতোয়া নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক!]
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই তিনটি বগি ২টি অসংরক্ষিত এবং একটি বাতানুকূল কামরা। প্রায় ৪০ মিনিট পর কাপলিং লাগিয়ে আবারও খড়গপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। এই দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ডাউন ফলকনুমা এক্সপ্রেসের কাপলিং ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় খড়গপুর ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার বলেন, “এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে কাপলিং খুলে গেল, সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
উল্লেখ্য, মাসদুয়েক আগে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে গুয়াহাটিগামী আপ বিকানের এক্সপ্রেস। গত ১৩ জানুয়ারি বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই ময়নাগুড়ির (Maynaguri) দোমোহানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বেশ কয়েকটি কামরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির মোট ১২ টি বগি। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। প্রাণহানিও ঘটে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বড়সড় বিপদের মুখে ডাউন ফলকনুমা এক্সপ্রেস। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।