shono
Advertisement
Uluberia

আগেই ছাই হয়েছিল বাড়ি, মাধ্যমিকের আগে পিতৃহারা উলুবেড়িয়ার সেই পরীক্ষার্থী

বাবার মৃত্যুর খবর তাকে পরীক্ষার আগে জানানো হয়নি।
Published By: Suhrid DasPosted: 04:52 PM Feb 10, 2025Updated: 04:52 PM Feb 10, 2025

মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছিল বিধ্বংসী আগুনে। বইখাতা, অ্যাডমিট কার্ড সব কিছুই চলে গিয়েছিল আগুনের গ্রাসে। মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাবা রিয়াজুল আলম। মন শক্ত করে তারপরেও নতুন অ্যাডমিট কার্ড হাতে নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রেনুইয়া খাতুন। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই পরিবারে এল দুঃসংবাদ। তার বাবা আজ সোমবার হাসপাতালেই মারা গিয়েছেন।

Advertisement

মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন কয়েক আগে উলুবেড়িয়ার বাগনান থানার হালান গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়োল পাড়া এলাকার একটি বাড়িতে আগুন লাগে। সেই বাড়ির মেয়ে রেনুইয়া খাতুন এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার সব বইপত্র, নোটস, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে যায়। খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়েছিল ওই পরিবার। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় ওই পরিবার পরে মাথা গোঁজার জায়গা পান।

সেখানেই শেষ মুহূর্তে ওই ছাত্রী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে। নতুন অ্যাডমিট কার্ড গত শুক্রবার তাঁকে দেওয়া হয়। এদিন সকালে পরীক্ষার জন্য রওনাও হয়। রুপাসগড়ি হাইস্কুলে তার পরীক্ষার সিট পড়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময়েই পরিবারের কাছে খবর আসে, তার বাবা আর নেই। কিন্তু পরিবারের থেকে বাবার মৃত্যুর সংবাদ তাকে দেওয়া হয়নি। এদিন পরীক্ষায় বসার আগে ওই ছাত্রীকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রধান এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান। জানা গিয়েছে, আগুনে সব হারিয়েও অসম্ভব মনের জোর দিয়ে পরীক্ষায় বসেছে ওই ছাত্রী।

ছাত্রীর বাবার মৃত্যুর কথা জেনেই ওই স্কুলে হাজির হন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ মাসুদ। পরীক্ষা শেষে রেনুইয়াকে তিনিই বাড়ি নিয়ে যান। বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় রিয়াজুল আলম গুরুতর জখম হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছিল বিধ্বংসী আগুনে।
  • বইখাতা, অ্যাডমিট কার্ড সব কিছুই চলে গিয়েছিল আগুনের গ্রাসে।
  • ওই পরীক্ষার্থীর বাবা আজ সোমবার হাসপাতালেই মারা গিয়েছেন।
Advertisement